স্টাফ রিপোর্টার: গত বছর দেশজুড়ে সন্ধান মিলেছে ৬৬৪টি নতুন প্রজাতির প্রাণীর। যা বিগত দশ বছরে সর্বোচ্চ। শনিবার কলকাতায় আয়োজিত জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (জেডএসআই) ১০৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের অনুষ্ঠান থেকে সেই নব-আবিষ্কৃত প্রাণীদের তথ্য সম্বলিত বই প্রকাশ করা হল।
২০২২ সালে আবিষ্কৃত নতুন প্রজাতিগুলির মধ্যে ৫৮৩টি অমেরুদণ্ডী ও ৮১টি মেরুদণ্ডী প্রাণী। তাদের অন্তর্ভুক্তির পর দেশে আবিষ্কৃত প্রাণী প্রজাতির সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৩ হাজার ৯২২টি হল। নতুন আবিষ্কৃত প্রাণীগুলির মধ্যে ৫১টির (৭.৬ শতাংশ) সন্ধান মিলেছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে ‘অ্যানিমাল ডিসকভারিজ-নিউ স্পিসিস অ্যান্ড নিউ রেকর্ডস’ শীর্ষক বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে পতঙ্গের সংখ্যা সবথেকে বেশি। ৩৮৪টি প্রজাতি।
[আরও পড়ুন: বাড়ানো হবে রাস্তা, একই সঙ্গে হনুমান মন্দির ও মাজার ভেঙে দিল দিল্লি সরকার]
মেরুদণ্ডীদের মধ্যে মাছেদের আধিক্য রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে এবছর স্তন্যপায়ী প্রাণীর তিনটি নতুন প্রজাতি ও একটি নতুন রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। ২টি নতুন পাখির প্রজাতি, সরীসৃপের ৩০টি নতুন প্রজাতি ও দুটি নতুন রেকর্ড, উভচর প্রাণীর ৬টি নতুন প্রজাতি ও একটি নতুন রেকর্ড এবং মাছের ২৮টি নতুন প্রজাতি ও ৮টি নতুন রেকর্ড আবিষ্কার করা হয়েছে। জেডএসআই-এর তথ্য অনুযায়ী, সবথেকে বেশি সংখ্যক প্রাণীর সন্ধান মিলেছে কেরল থেকে, ৯৭টি (১৪.৬ শতাংশ)। কর্নাটক থেকে ৮৮টি, তামিলনাড়ু থেকে ৮৪টি ও আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে ৫৬টি নতুন প্রজাতির প্রাণীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ‘প্ল্যান্ট ডিসকভারিজ ২০২২’, ভারতের ৭৫টি রামসার জলাভূমিতে সংরক্ষিত প্রাণীদের বৈচিত্র, ৭৫টি দেশীয় পাখি, ভারতের ১০৮টি প্রাণীর ডিএনএ সিকোয়েন্স-সহ মোট ছয়টি বই প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব, কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী অশ্বিনীকুমার চৌবে। ছিলেন জেডএসআই-এর অধিকর্তা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়ও। উদ্বোধনী ভাষণে দেশের প্রাণীবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও নথিবদ্ধকরণে জেডএসআই-এর গুরুত্ব তুলে ধরেন ভূপেন্দর যাদব।