সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪০০ পারের লক্ষ্য নিয়ে ২০২৪-এর লোকসভার লড়াইয়ে নেমেছে বিজেপি। অন্যদিকে, এই নির্বাচনে এজেন্সির অপব্যবহারে বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই রবিবার দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের মেগা র্যালি থেকে ৫টি দাবিতে সরব হল বিরোধী শিবির। দেশের নির্বাচন কমিশনের কাছে যে ৫ দাবি রাখা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও হেমন্ত সোরেনের মুক্তির দাবি।
কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া গান্ধী-সহ বিরোধী জোটের শীর্ষ নেতৃত্বরা। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের ডঙ্কা বাজতেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে চলছে প্রতিহিংসার রাজনীতি। এই অভিযোগ তুলেই বিরোধী জোটের মঞ্চ থেকে ৫টি দাবির কথা তুলে ধরেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। যেগুলি হল,
১. আসন্ন নির্বাচনে প্রতিটি দলের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা উচিত কমিশনের।
২. বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থে যেভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার হচ্ছে অবিলম্বে তা আটকানো উচিত।
৩. দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে দ্রুত মুক্তি দেওয়া উচিত কমিশনের।
৪. সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিট গঠন করে ইলেক্টোরাল বন্ডের তদন্ত হওয়া উচিত।
৫. বিরোধী দলগুলির যেসব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে তা দ্রুত খুলে দেওয়া হোক।
[আরও পড়ুন: ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ না হলে ৪০০ পার হবে না, ভোটে কারচুপি নিয়ে মোদিকে তোপ রাহুলের]
শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানিয়ে মঞ্চ থেকে এদিন প্রিয়াঙ্কা বলেন, “আমার মনে হয় বিজেপি একটি মোহের মধ্যে আটকে রয়েছে। আমি ওদের এক হাজার বছরের পুরনো ইতিহাস স্মরণ করাতে চাই। যখন ভগবান রাম সত্যের জন্য যুদ্ধে নেমেছিলেন তখন তাঁর কাছে না ছিল শক্তি না ছিল প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। এমনকী তাঁর কোনও রথও ছিল না। রাবণের কাছে রথ, অস্ত্রশস্ত্র, লোকবল সবই ছিল। তবে ভগবান রামের কাছে ছিল সত্য, আশা, বিশ্বাস, ধৈর্য এবং সাহস।”
[আরও পডুন: নিঃসন্তান মহিলাকে দিনরাত গঞ্জনা! শাশুড়িকে ‘খুন’ করে আত্মসমর্পণ গৃহবধূর]
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধে এজেন্সির অপব্যবহার করে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। একদিকে যখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে একের পর এক বিরোধী নেতাদের। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলিকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দিতে ফ্রিজ করে দেওয়া হচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন নির্বাচনে ‘ম্যাচ গড়পেটা’র আশঙ্কা করতে দেখা যায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও। তিনি বলেন, ‘আজ আইপিএল খেলা হচ্ছে। যেখানে আম্পায়ারদের চাপে রাখা হয়, টাকার বিনিময়ে খেলোয়াড়দের কেনা হয়, আবার অধিনায়কদের ম্যাচ জেতার জন্য হুমকি দেওয়া হয়, ক্রিকেটে এমন অবস্থাকেই ম্যাচ ফিক্সিং বলা হয়। সামনে লোকসভা ভোট। আম্পায়ার পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। খেলা শুরুর আগেই আমাদের খেলোয়াড়দের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’