সুকুমার সরকার, ঢাকা: আগস্ট মাস থেকে ফের শুরু হতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশ যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
[আরও পড়ুন: ‘হাসপাতালে জায়গা থাকবে না’, করোনা নিয়ে সতর্কবার্তা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর]
করোনা আবহে সংক্রমণ রুখতে দুই দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা বন্ধ ছিল। ফলে বাণিজ্য বা চিকিৎসার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছিলেন অনেকেই। সেই কথা মাথায় রেখে বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “ভারতে করোনা সংক্রমণ কমতে থাকায় সামনের মাস থেকে ঢাকা-দিল্লি এয়ার বাবল চালু হতে পারে। এ নিয়ে আমাদের একটি প্রস্তুতি থাকাও দরকার। সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আগস্টের প্রথমেই আমরা রিভিউ মিটিং করব। সেখানে এটি নিয়ে আলোচনা হবে।” উল্লেখ্য, ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির সুবিধা নিয়ে পর্যটক ভিসা ছাড়া অন্য সব ক্যাটাগরির ভিসাধারীরা ভারতে যেতে পারতেন। ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির শর্তে ভারতের পক্ষ থেকে আগের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবেন তাঁদের প্রত্যেককে নতুন করে ভিসা নিতে হবে। এয়ার বাবল সুবিধায় রোগীর সঙ্গী হিসেবে সর্বোচ্চ তিনজনের ভিসা পাওয়া যাচ্ছিল। উভয় দেশের যাত্রীদের জন্য ৭২ ঘণ্টার আগের পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা আবহে গত বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে দু’দেশের মধ্যে তিন মাসের জন্য ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির অধীনে এ বিমান চলাচল শুরু হয়েছিল। অন্যদিকে এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় উভয় দেশ ২৮টি করে ৫৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির সুবিধা নিয়ে পর্যটক ভিসা ছাড়া অন্য সব ক্যাটাগরির ভিসাধারীরা ভারতে যেতে পারছিলেন। কিন্তু ভারতে করোনা ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় ১৩ মার্চ থেকে দেশটির সঙ্গে স্থল, বিমানসহ সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে করে দুই দেশে প্রচুরসংখ্যক মানুষ আটকে পড়ে। সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। ভারতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমে আসায় আবার ‘এয়ার বাবল’ সুবিধা চালুর চিন্তা চলছে বলে সূত্র জানিয়েছে।