সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খলিস্তানি বিতর্কে ভারত ও কানাডার(India-Canada Conflict) মধ্যে কূটনৈতিক চাপানউতোর বেড়েই চলেছে। এবার দুদেশের সংঘাতে মধ্যস্থতা করতে আসরে নামল আমেরিকা। দুদেশকেই সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার ঘটনায় সংঘাত ক্রমেই তীব্র হচ্ছে ভারত ও কানাডার (Canada) মধ্যে। এই আবহে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। বুধবার এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিনি ওয়াটসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘কানাডার সমালোচনা করেছে আমেরিকা বলে যে খবর আসছে তা ভিত্তিহীন। এর কোনও সত্যতা নেই। আমরা এই বিষয়ে কানাডার প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করছি। তাদের তদন্তে সমর্থন করছি। অন্যদিকে ভারত সরকারের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
মার্কিন নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি আগেই জানিয়েছিলেন, “কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে যে অভিযোগ তুলছেন তা গুরুতর। আমেরিকা চায় স্বচ্ছ পথে বিষয়টির উদঘাটন হোক। কানাডা নিজের মতো করে তদন্ত করুক আমরা তাতে হস্তক্ষেপ করব না। আমরা ভারতের কাছে আবেদন জানাব তদন্তে সবরকমভাবে সহযোগিতা করতে।”
[আরও পড়ুন: ভারতের পর এবার ট্রুডোর নিশানায় রাশিয়া! কী চাইছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী?]
গত সোমবার সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) সাফ জানান, কানাডার নাগরিক খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের নেপথ্যে ভারতীয়দের (India) হাত থাকতে পারে বলেই সেদেশের তদন্তকারীদের অনুমান। এই দাবির পক্ষে প্রমাণ মিলেছে বলেও জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই কানাডার বিদেশমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিকদের মধ্যে অন্যতম প্রধান এক আধিকারিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। কানাডার এহেন অভিযোগের পালটা জবাব দিয়ে কানাডার এক কূটনীতিককে পাঁচদিনের মধ্যে দেশে ফিরতে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি। এরপর থেকেই দুদেশের সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকেছে।
এই ঘটনার পরই খলিস্তানি বিতর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে মার্কিন প্রশাসন। দুদেশকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে হোয়াইট হাউসের তরফে। বিশ্লেষকদের মতে, কানাডা ও ভারত কোনও দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক খারাপ করতে চাইছে না ওয়াশিংটন। কারণ দুদেশের সঙ্গেই আমেরিকার রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।