সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর শেষে করোনার নয়া স্ট্রেন ‘ওমিক্রন’ জাঁকিয়ে বসেছে ব্রিটেনজুড়ে। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ওমিক্রন আতঙ্কে রীতিমতো ত্রস্ত গোটা ইংল্যান্ড। ভারতেও যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তবে এ দেশেও বিরাট দাপট দেখাবে এই ভাইরাস (Coronavirus)। এমনকী দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা হতে পারে ১৪ লক্ষ! এমনই আশঙ্কার কথা জানাল কেন্দ্র।
ইতিমধ্যেই দেশে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে ‘ওমিক্রন’ (Omicron)। ১১টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই শক্তিশালী স্ট্রেন। শুক্রবার তাই দেশবাসীকে নতুন করে সতর্ক করল কেন্দ্র। নীতি আয়োগের সদস্য ডা. ভিকে পল বলছেন, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সে ১০০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের করোনা টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। তা সত্ত্বেও সেখানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেল্টা এবং ওমিক্রন। আফ্রিকার পাশাপাশি ইউরোপের পরিস্থিতিও ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। ডা. ভিকে পলের কথায়, “অতিমারীর প্রভাব এখনও এতটুকু কমেনি। বেড়েই চলেছে ওমিক্রনের সংক্রমণ। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যাচ্ছে দেশে এই ধরনের পরিস্থিতি না তৈরি হয়। সেই সঙ্গে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে।”
[আরও পড়ুন: পাঁচ বছরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেনার ১৫ হেলিকপ্টার, সংসদে জানাল সরকার]
এরপরই যোগ করেন, যদি অনেক বেশি শতাংশ টিকাকরণের পরও ব্রিটেনে দৈনিক ৮০ হাজার সংক্রমিত হয়, তবে ভারতের অবস্থা আরও করুন হতে পারে। এই গতিতে ওমিক্রন ছড়ালে ভারতে দৈনিক ১৪ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হবেন। ফ্রান্সের মতো অবস্থা হলে প্রতিদিন ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা হবে ১৩ লক্ষ।
‘ওমিক্রন’ মোকাবিলায় তাই কী কী করণীয়, তারও পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকা।
১. অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ বন্ধ করা দরকার।
২. জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন। কারণ এই জায়গাগুলিই কোভিড-১৯-এর হটস্পট। তাই যে সব রাজ্যে ভোট রয়েছে, তাদের বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
৩. আসন্ন বড়দিন এবং বর্ষবরণের উৎসবে রাশ টানা প্রয়োজন বলেই মনে করছে কেন্দ্র।
৪. যে সমস্ত জেলায় পজিটিভিটি রেট ৫ শতাংশের বেশি, সেখানে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা প্রয়োজন।
৫. টিকাকরণের পাশাপাশি মাস্ক করা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো নিয়মগুলিও মেনে চলতে হবে।