সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানের ফারজাদ-বি গ্যাস ক্ষেত্র থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের বরাত পেল না রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওএনজিসি-র বৈদেশিক শাখা ওএনজিসি বিদেশ লিমিটেড বা ওভিএল। স্থানীয় একটি সংস্থাকে এই গ্যাস উত্তোলনের বরাত দিয়েছে ইরান সরকার।
[আরও পড়ুন: রকেট হামলার বদলা নিল ইজরায়েল, বিমান হানায় খতম ইসলামিক জেহাদের নেতা]
ইরানের তৈলমন্ত্রক জানিয়েছে, “পেট্রোপার্স গোষ্ঠীর সঙ্গে ১.৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দ্য ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি। পার্সিয়ান গাল্ফের ফারজাদ-বি গ্যাস ক্ষেত্র থেকে তারা গ্যাস উত্তোলন করবে।” সোমবার ইরানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর উপস্থিতিতেই তেহরানে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। উল্লেখ্য, ইরানের মাটিতে ২৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস ভাণ্ডারের ৬০ শতাংশ উত্তোলন করা সম্ভব। ২০০৮ সালে এই গ্যাস ভাণ্ডার আবিষ্কারের ক্ষেত্রে বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ওএনজিসি বিদেশ লিমিটেডের। তাই কেন্দ্রের আশা ছিল, উত্তোলনের বরাতও পাবে ওএনজিসি বিদেশ লিমিটেড। জানা গিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে ২৮ বিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস উত্তোলন করা হবে। যার প্রায় সবটাই উত্তোলক সংস্থার থেকে কিনে নেবে ইরান সরকার। এই প্রকল্পের যৌথ অংশীদারও ছিল ওএনজিসি বিদেশ লিমিটেড। ফলে উত্তোলনের বরাত না পাওয়া ওএনজিসি বিদেশ লিমিটেডের পক্ষে অত্যন্ত হতাশার।
উল্লেখ্য, বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন চাপে ইরানের থেকে অপরিশোধিত তেলের আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। বিগত কয়েক বছরে ভারত অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ হয়েছে আমেরিকার, যা ইরানের চরম অপছন্দের। পাশাপাশি চিনের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়েছে। ঠিক এরকম সময়েই স্বীকার না করলেও চাবাহার বন্দর নিয়ে ভারতকে চাপ দিচ্ছে ইরান। ফলে ইরানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ফাটল আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।এর ফলে কৌশলগত দিক থেকে কিছুটা বেকায়দায় পড়তে পারে নয়াদিল্লি বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।