সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বুধবার চিনের (China) উপর দ্বিতীয় ডিজিটাল স্ট্রাইক ভারতের! চিনা সংস্থা যুক্ত থাকায় একধাক্কায় নিষিদ্ধ ১১৮টি অ্যাপ্লিকেশন। যার মধ্যে রয়েছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন গেম PUBGও। আর এবার এই প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল বেজিং (Beijing)। মোদি সরকারের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে বিবৃতি দিল চিনের বাণিজ্যমন্ত্রক। এই সিদ্ধান্ত চিনের ব্যবসায়ীদের আইনি অধিকার খর্ব করেছে। এমনটাই মনে করছে ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশটি। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি সিদ্ধান্ত বদলের আর্জিও জানিয়েছে তারা।
[আরও পড়ুন: নতুন চক্রান্তের ইঙ্গিত! পাকিস্তানের আদালতে পিছল কুলভূষণ যাদবের মামলার শুনানি]
বৃহস্পতিবার চিনের বাণিজ্যমন্ত্রকের মুখপাত্র গাও ফেং বলেন, ‘‘ভারতের এই পদক্ষেপ চিনের ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির আইনি অধিকার খর্ব করেছে।’’ এখানেই শেষ নয়, অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারত যে ভুল করেছে, সেটাও শুধরে নেওয়ার আর্জিও জানান তিনি। তবে এর পাশাপাশি এর পিছনে আমেরিকার উসকানির অভিযোগও তোলেন তিনি।
এর আগে অ্যাপগুলো নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়ে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, PUBG ও ১১৮টি অ্যাপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠছিল। তার মধ্যে অন্যতম ছিল তথ্য চুরি ও অ্যাপ ব্যবহারকারীদের উপর নজরদারি চালানো। এরপরই অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করল সরকার। দেশের তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৯এ- ধারায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘PUBG-সহ ১১৮টি অ্যাপ ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা ও নাগরিকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল।”
[আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনার তালিকা থেকে কাশ্মীর ইস্যু বাদ দেওয়ার দাবি ভারতের]
এর আগে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চড়তে থাকা উত্তেজনার পারদ চূড়ান্ত আকার নেয় গত ১৫ জুন। গালওয়ান সীমান্তে চিনা সেনার অতর্কিত হানায় শহিদ হন ২০ ভারতীয় জওয়ান। এরপর থেকেই চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দেন দেশবাসী। চিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। চিনকে ভাতে মারতে একাধিক পদক্ষেপ করে কেন্দ্র। চিনের বিভিন্ন সংস্থার একাধিক বরাত বাতিল করে রেল ও বিএসএনএল। এরপরই ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষিত হয়। যা চিনকে কার্যত বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলছে। এরপরে আগ্রাসনের পথ থেকে পিছিয়ে আসেনি চিন। বরং আগস্ট মাসের শেষ থেকে লাদাখে ফের ভারতীয় জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে লালফৌজ। সরাসরি সংঘর্ষের পথে না গিয়ে ফের ড্রাগনের দেশের অর্থনীতিকে বড় ধাক্কা দিল কেন্দ্র সরকার। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।