সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ মাস ধরে জাতিদাঙ্গায় পুড়ছে মণিপুর। হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করার পরও থেকে থেকেই জ্বলে উঠছে হিংসার আগুন। শান্তি ফেরাতে আসরে নামতে হয়েছে সুপ্রিম কোর্টকেও। এই প্রেক্ষাপটে মণিপুরে ‘মানবাধিকার হনন’ ও সরকারের ‘অপর্যাপ্ত’ পদক্ষেপের অভিযোগ তুলে রিপোর্টে মোদি সরকারকে বিঁধেছেন রাষ্ট্রসংঘের বিশেষজ্ঞরা। পালটা, নয়াদিল্লির কড়া কথা, ওই রিপোর্ট ‘বিভ্রান্তিকর’। ‘পূর্ববর্তী ধারণার বশবর্তী’ হয়ে তা পেশ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২৯ আগস্ট মণিপুর হিংসা নিয়ে ভারত সরকারের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করেন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ‘স্পেশ্যাল প্রসিডিউর ম্যানডেট হোল্ডার’ বা বিশেষ অধিকার প্রাপ্ত বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের পেশ করা ‘ইন্ডিয়া: ইউএন এক্সপার্টস অ্যালার্মড বাই কনটিনিউইং অ্যাবিউসেস ইন মণিপুর’ শীর্ষক রিপোর্টে রীতিমতো তুলোধোনা করা হয়েছে মোদি সরকারকে। বলা হয়েছে, ‘মণিপুরে মহিলাদের বিবস্ত্র করে হাঁটানো, গণধর্ষণ, হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠছে। মানবাধিকার হনন হয়েছে। পরিস্থিতি এত জটিল হওয়া সত্ত্বেও ভারত সরকার যথাযথ ও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।’
[আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান, কাশ্মীরি সাংসদকে বেনজির ‘সাজা’ সুপ্রিম কোর্টের]
এই রিপোর্টে চরম ক্ষুব্ধ মোদি সরকার। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি দল। নয়াদিল্লির সাফ কথা, ‘ওই রিপোর্ট বিভ্রান্তিকর। পূর্ববর্তী ধারণার বশবর্তী’ হয়ে তা পেশ করা হয়েছে। এতেই স্পষ্ট, যাঁরা রিপোর্ট পেশ করেছেন তাঁদের মণিপুরে কী ঘটছে বা সরকার কী করছে তা নিয়ে কোনও সম্যক ধারণা নেই। এসমস্তই ভিত্তিহীন। মণিপুরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে তথ্যের উপর নির্ভর করে রিপোর্ট পেশ করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত পাঁচ মাস ধরে মেতেই-কুকি জাতিদাঙ্গার আগুনে জ্বলছে উত্তরপূর্বের এই রাজ্য। প্রায় দিনই সে রাজ্য থেকে সংঘর্ষ ও রক্ত ঝরার খবর মিলছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯২। আহত বহু। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে চরম দুর্দশায় দিন কাটছে মণিপুরবাসিদের। ফলে মণিপুরের (Manipur) আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বারে বারে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।