সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংক্রমণ রুখতে নতুন করে লকডাউন অথবা কড়া বাধানিষেধের পথে হেঁটেছে দেশের একাধিক রাজ্য। মাস্ক ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা নিয়ে কড়াকড়ি চলছে। আর তারই সুফল মিলছে। কারণ শনিবার একধাক্কায় অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। যদিও ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারালেন সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ।
এদিন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৭৯০ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে দৈনিক সংক্রমণ। তবে চলতি বছরই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। যা নিয়ে উদ্বেগ রয়েই গিয়েছে। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ২ কোটি ৭৭ লক্ষের গণ্ডি। একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৩,৬১৭ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৩ লক্ষ ২২ হাজার ৫১২ জন।
[আরও পড়ুন: মুসলিম দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু কেন্দ্রের]
তবে মানুষ নতুন করে গৃহবন্দি হওয়ায় ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, একদিনে কমেছে এক লক্ষেরও বেশি অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন মোট ২২ লক্ষ ২৮ হাজার ৭২৪ জন। একটা সময় অ্যাকটিভ কেস বাড়তে থাকায় হাসপাতালে বেড সংকট, অক্সিজেন সংকটে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
সেই সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরাই। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬০১ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ৫১ লক্ষ ৭৮ হাজার ১১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। টিকা পেয়েছেন ২০ কোটি ৮৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ। দেশজুড়ে করোনার নয়া তাণ্ডব রুখতে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। দ্রুত টিকার ঘাটতি মেটানোর চেষ্টাও চলছে পুরোদমে। তবে টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ২০ লক্ষ ৮০ হাজার ৪৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।