ভারত: ১৬৩/৩ (রাহুল-৪৫, রোহিত-৬০ রিটায়ার্ড হার্ট)
নিউজিল্যান্ড: ১৫৬/৯ (সেইফের্ট-৫০, টেলর-৫৩)
৭ রানে জয়ী ভারত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ কোন নিউজিল্যান্ড! আইসিসি টি-টোয়েন্টি ব়্যাঙ্কিংয়ে এদের স্থান ছয় নম্বরে। ভারতের থেকে মাত্র একধাপ নিচে। তাছাড়া টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ছোট ফরম্যাটে এই কিউয়িদের পরিসংখ্যান দুর্দান্ত। সেই নিউজিল্যান্ডই কি দক্ষিণ আফ্রিকার পর বিশ্ব ক্রিকেটের নয়া ‘চোকার্স’ তকমার মালিক হয়ে গেল? বারবার এভাবে জয়ের কাছাকাছি এসেও যে দল ব্যর্থ হয়, তাকে আর কী বলা যেতে পারে! তাও আবার ঘরের মাঠে। কিউয়িদের হোয়াইটওয়াশ করে ভারতের বিশ্বরেকর্ড নিঃসন্দেহে দেশবাসীর কাছে দারুণ আনন্দের। কিন্তু ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের রানার্স আপের এই করুণ অবস্থা আজ কাঁদিয়ে দিল বিশ্বক্রিকেটকে।
একদিকে ভারত যখন সিরিজ জয়ের পর শুধু দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গেল, অন্যদিকে তখন সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করেও জয়ের মুখ দেখতে পেলেন না টিম সাউদিরা। অথচ এই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেই দশ বছর (২০০৭-২০১৭) টি-টোয়েন্টিতে জয় অধরা ছিল ভারতের। এই সিরিজের আগে মোট ১১ বারের সাক্ষাতে ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিরুদ্ধে মাত্র তিনটি ম্যাচ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যেন ধরা ছোঁয়ার উর্ধ্বে চলে গেলেন রোহিত-কোহলিরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করে বিশ্বরেকর্ড করে ফেলল ভারত।
[আরও পড়ুন: বিরল সম্মান, টোকিও অলিম্পিকে ভারতের শুভেচ্ছা দূত হতে পারেন সৌরভ]
নিউলিজ্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় হয়ে গিয়েছিল আগেই। তাই শেষ ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন বিরাট কোহলি। রবিবাসরীয় টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্বের দায়িত্ব ছিল রোহিত শর্মার কাঁধে। এদিন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন ভারতীয় দলের হিটম্যান। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় ১৭ ওভারে কুঁচকিতে চোট লাগে তাঁর। চোট পাওয়ার পরও দেখা যায় উঠে ছক্কা হাঁকান তিনি। কিন্তু তখনও অস্বস্তি বোধ করায় মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক। ৪১ বলে ৬০ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়েই ড্রেসিংরুমে ফেরেন। চোট যে বেশ গুরুতর, তা বোঝা যায় যখন কিউয়িদের ইনিংসে পরিবর্ত ক্যাপ্টেনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন কেএল রাহুল।
[আরও পড়ুন: সুযোগ দেয়নি পাকিস্তান, ব্যাংককে ভারতের দলের হয়ে খেললেন কানেরিয়া]
ব্যাটসম্যান হিসেবে ৪৫ রান তো করলেনই রাহুল, সেই সঙ্গে পরিবর্ত ক্যাপ্টেন হিসেবে দলকেও জিতিয়ে দিলেন। তবে এ জয়ে বোলারদের কৃতিত্ব অনেকখানি। বুমরাহ (৩), শার্দুল ঠাকুর (২) আর সাইনি (২) এভাবে কিউয়ি ব্যাটিং অর্ডারে ধস না নামালে ফল অন্যরকম হতেও পারত। এমন দলগত প্রয়াসই এদিন কোহলিহীন ভারতের সবচেয়ে বড় পাওনা।
The post শেষ ম্যাচে পেসারদের দাপট, কিউয়িদের হোয়াইটওয়াশ করে বিশ্বরেকর্ড ভারতের appeared first on Sangbad Pratidin.