সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলি ভূখণ্ডে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যার জেরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল। বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলে ১ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণে ভারতের বাজারেও পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ার সম্ভাবনা। মূলত, মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমান উত্তেজনার কারণে তেল সরবরাহে বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কায় এই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
বুধবার মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লুটিআই) ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি ৭০.১১ ডলারে উঠেছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি ৭৪.৮৪ ডলারে উঠে এসেছে। গতকাল, মার্কিন বাজারে এর প্রভাব দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে টেক কোম্পানিগুলোর শেয়রদর তীব্রভাবে পড়েছে। যে কারণে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড এবং এনভিডিয়ার মতো টেক জায়ান্টগুলো ক্ষতির সঙ্গে বন্ধ হয়েছে। ফিলিপ নোভার সিনিয়র মার্কেট বিশ্লেষক প্রিয়াঙ্কা সচদেব বলেন, “তেল বাজারগুলোতে মূলত জ্বালানির চাহিদা হ্রাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির দুর্বলতার উপর নির্ভর করছিল। তবুও ইরান ইজরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর, মধ্যপ্রাচ্যে তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।”
মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্য অনুযায়ী, ইরান বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ। শিয়া প্রধান দেশটি তেল উৎপাদনকারী দেশের সংস্থা ওপেকের তৃতীয় বৃহত্তম সদস্য। এদিকে, ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের একটি নোটে বলা হয়েছে, ‘ইরানের বড় ধরনের হামলা আমেরিকাকে যুদ্ধে টেনে নিতে পারে। ইরান বিশ্ব তেল উৎপাদনের প্রায় ৪ শতাংশ জোগান দেয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যদি ইরানের সরবরাহ বিঘ্নিত হয়, তবে সৌদি আরব উৎপাদন বাড়াবে কি না।’
এই বিষয়ে ওপেক প্লাসের একটি প্যানেল বুধবার বৈঠকে তেল বাজারের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে। তবে সেই বৈঠক থেকে কোনও নীতিগত পরিবর্তনের আবাস মেলেনি। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উত্তেজনা বাড়লে হরমুজ প্রণালির শিপিং কার্যক্রমে প্রভাব পড়তে পারে। ওমান ও ইরানের মধ্যে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ এই শিপিং রুট দিয়ে বিশ্বের ২০ শতাংশ তেল সরবরাহ হয়ে থাকে।