সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের সুকমায় ফের বড় সাফল্য। শুক্রবার রাত থেকে চলা নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইতে খতম ১৬ মাওবাদী। ২ জওয়ান জখম হয়েছেন। মাওবাদীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেই খবর। কেরলাপাল এলাকায় মাওবাদীরা ঘাঁটি গেড়েছে বলেই গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। সেই খবরের ভিত্তিতে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বা ডিআরজি এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ যৌথ অভিযান চালায়। শুক্রবার রাতভর গুলির লড়াই চলার পর ১৬ জন মাওবাদী খতম হয়। ২জন জওয়ান জখম হন। এখনও মাওবাদী নিকেশ অভিযান চলছে বলেই খবর।

প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদ নির্মূল করার শপথ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সূত্রেই কড়া হাতে মাওবাদী দমনে নেমেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে নিয়মিত গুলির লড়াই লেগেই রয়েছে। সে কারণে ‘নকশাল আত্মসমর্পণ এবং আক্রান্তদের পুনর্বাসন নীতি ২০২৫’-এ বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সায় ঘোষণা করেছেন, নতুন প্রকল্পে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসন, চাকরি, আর্থিক পুরস্কার এবং আইনি সুরক্ষা প্রদান করা হবে। মাওবাদী নেতাদের পদ অনুযায়ী সুবিধা প্রদান করা হবে নয়া পুনর্বাসন নীতিতে। রাজ্য কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর সদস্যদের মতো উচ্চপদস্থ ক্যাডারদের এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। যাঁরা লাইট মেশিনগান-সহ আত্মসমর্পণ করবেন, তাঁরাও পাবেন পাঁচ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার। যে সব ক্ষেত্রে মাওবাদী ইউনিটের ৮০ শতাংশ সদস্য একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করবেন, সেখানে দ্বিগুণ পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুনর্বাসনের এই প্যাকেজে রয়েছে চাকরি এবং সন্তানদের শিক্ষায় সাহায্যও।
অন্যদিকে, মাওবাদীদের ধরিয়ে দিলে মিলবে ১০ লক্ষ পুরস্কার। মাওবাদীদের হামলায় নিহতদের পরিবারকে ১৫-২৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি নিরাপত্তাকর্মীদের জন্যও পুরস্কার হিসেবে নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা কিংবা সংশ্লিষ্ট মাওবাদীর মাথার দামের ১০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পুনর্বাসন নীতিতে প্রস্তাব করা হয়েছে, আত্মসমর্পণের পর মাওবাদীদের উপর নজর রাখবে একটি বিশেষ কমিটি। যদি ছয় মাস তাঁদের আচরণে কোনও সন্দেহজনক কিছু না মেলে, তা হলে সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহারের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে।