হেমন্ত মৈথিল: লক্ষ্য অপরাধ ও ভয়মুক্ত উত্তরপ্রদেশ। সেই লক্ষ্য পূরণে অপরাধীদের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যোগী সরকারের ৮ বছর পূর্তিতে সেই সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরল সরকার। যেখানে দেখা যাচ্ছে, গত আট বছরের শাসনকালে এনকাউন্টারে খতম হয়েছে ২২২ জন ভয়ংকর অপরাধী। অভিযানে আহত হয়েছেন আরও ৮১১৮ জন অপরাধী। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৩০ জন জঙ্গিকে।

যোগী সরকারের তরফে সম্প্রতি যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, আট বছরে পুলিশ ও এসটিএফের অভিযানে মৃত্যু হয়েছে ২২২ জন অপরাধীর। ১৩০ জন জঙ্গি ও ১৭১ জন রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সময়কালে ২০ হাজার ২২১ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যাঁদের খোঁজ পেতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। ৭৯৯৮৪ জন অপরাধীর বিরুদ্ধে গ্যাংস্টার মামলায় তদন্ত হয়েছে। ৯৩০ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, জোর করে সাধারণ মানুষের সম্পত্তি হাতানো ও অপরাধকে হাতিয়ার করে যারা সম্পত্তি হাতিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গ্যাংস্টার অ্যাক্ট-এর মাধ্যমে ১৪২ বিলিয়নের বেশি মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতেও কোনও খামতি রাখা হয়নি পুলিশের তরফে। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৫১ অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। ৬,২৮৭ জনকে যাবজ্জীবন, ১০৯১ জনকে ২০ বছরের বেশি সময়ের কারাদণ্ড হয়েছে।
এছাড়া সরকারি জমির অবৈধ অধিগ্রহণমুক্ত করতেও বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। ৬৬ হাজার হেক্টরের বেশি জমি যা অবৈধভাবে দখল করা হয়েছিল তা মুক্ত করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াতেই ১৩০ সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি এ প্রসঙ্গে জানান, গত ৮ বছরে ভয়মুক্ত উত্তরপ্রদেশ গড়তে আমরা যথেষ্ট সফল হয়েছি। আমাদের সাফল্যের খতিয়ান এই পরিসংখ্যানই।