সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুর প্রায় দু’সপ্তাহ পর বেঙ্গালুরুর একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত এক যুবকের দেহ। মৃতের নাম নিখিল সোমওয়াংশি (২৫)। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে নিখিলের সহকর্মীদের দাবি, কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং বিষাক্ত পরিবেশের কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিগত কয়েকদিন ধরেই নিখিলের কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকী তাঁর সহকর্মীরাও তাঁকে ফোনে পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। অবশেষে গত ৮ মে বেঙ্গালুরুর আগারা লেক এলাকার বাড়ি থেকে নিখিলের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে সেখান থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অধিাকারিকরা। নিখিলের মৃত্যুর পর তাঁর সহকর্মীরা সংস্থার ম্যানেজারের দিকেই আঙুল তুলেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী জানিয়েছেন, ওই সংস্থার ম্যানেজার কর্মীদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ আচরণ করতেন। পাশাপাশি, মানসিক হেনস্তা করতেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও এবিষয়ে সংস্থার তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে নিখিলের মৃত্যুতে সংস্থার মুখপাত্র শোকজ্ঞাপন করেছেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকমাস আগে কলকাতার নিউটাউনের ইউনিটেক বিল্ডিংয়ের ৬ তলা থেকে ঝাঁপ মারেন এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মীর। রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, পেশাগত ক্ষেত্রে কিছু জটিলতার মধ্যে ছিলেন ওই যুবক। তাই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই কারণেই চরম সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেরকমই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবার বেঙ্গালুরুতে।
