সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যাসিডিটি, কোলেস্টরল ও ডায়াবেটিসের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজারে যে ওষুধ বিকোচ্ছে তা কি আদৌ নিরাপদ? সেই প্রশ্নই এবার তুলে দিল খোদ কেন্দ্রীয় সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO)-র রিপোর্ট। ওষুধের গুণগত মানের পরীক্ষার পর রীতিমতো সতর্কতা জারি করে জানানো হয়েছে, অ্যাসিডিটি, কোলেস্টরল ও ডায়াবেটিসের ৮৪টি ওষুধ বিপজ্জনক।
বিভিন্ন রোগের মোকাবিলায় বাজারে যে সব ওষুধ বিক্রি করা হয় নিয়মিত তার পরীক্ষা চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিডিএসসিও-এর। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে তাদের শেষ রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, অ্যাসিডিটি, কোলেস্টরল, ডায়াবেটিস ও জিবানু ঘটিত রোগের মোকাবিলায় বাজারে বিক্রি হওয়া ৮৪টি ওষুধ নিরাপদ নয়। এই ওষুধগুলির গুণগত মান অত্যন্ত খারাপ। যা রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। এই ওষুধগুলি দ্রুত বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এই ওষুধ রপ্তানি করা যাবে না বলেও জানিয়েছে সিডিএসসিও। যদিও এই ৮৪টি ওষুধের তালিকায় ঠিক কোন কোন সংস্থার ওষুধ রয়েছে তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সিডিএসসিও-র গুণগত মানের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিল ৫৩টি ওষুধ। যেখানে প্যারাসিটামল ছাড়াও ছিল ক্ল্যাভাম ৬২৫-এর মতো বহু পরিচিত অ্যান্টিবায়োটিক এবং প্যান-ডির মতো বহুল ব্যবহৃত হজমের ওষুধও। ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন ডি থ্রি সাপ্লিমেন্ট, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধ থেকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধও ছিল বিপজ্জনক তালিকায়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বহুল জনপ্রিয় সব ওষুধ যদি গুণগত মানের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয় তাহলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ঠিক কতখানি নিরাপদ?
