সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাকে রুখতে সামাজিক দূরত্ব পালন করছেন সকলেই। চলছে লকডাউন। তবে গৃহবন্দি রয়েছি বলে কোনওভাবেই যে আমরা একা নই, তার প্রমাণ দিতেই রবিবার রাত নটায় নয় মিনিটের জন্য ঘরের ভিতর কিংবা ছাদে, ব্যালকনিতে মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বান জানান মোদি। তবে বাস্তবে শুধু যে আলোর রোশনাই হল তা নয়। তার পাশাপাশি ফাটল দেদার শব্দবাজি। তার জেরে লকডাউনের দূষণহীন পরিবেশেও ছড়াল বিষবাষ্প। ঘটল অগ্নিকাণ্ডও।
রবিবার রাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মতো রাজস্থানের জয়পুরের বৈশালী নগরও দ্বীপ জ্বালো অনুষ্ঠানে শামিল হয়। তবে শুধু মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালিয়েই থামলেন না সকলে। পরিবর্তে দেদার শব্দবাজি ফাটাতে শুরু করেন অনেকেই। একেবারে অকাল দিপাবলির পরিবেশ তৈরি হয়। বাজি ফাটাতে গিয়ে আচমকাই আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। এক মুহূর্ত সময় না নষ্ট করেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।
[আরও পড়ুন: চুলোয় ‘সামাজিক দূরত্ব’! জন্মদিনে ভিড় জমিয়ে রেশন বিলি করলেন বিজেপি বিধায়ক]
এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই সুর চড়াতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আবহে দেশে সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন এমন ঘটা করে অকাল দিপাবলির আয়োজন করা হল, সেই প্রশ্ন করছেন অনেকেই। দ্বীপ জ্বালানোর নামে দেদার শব্দবাজি ফাটানোর তীব্র বিরোধিতা করেছেন পরিবেশ এবং পক্ষীপ্রেমীরা। তাঁদের দাবি, লকডাউনে মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় পরিবেশ দূষণের গ্রাফ ছিল নিম্নমুখী।বিভিন্ন জায়গায় অবাধে বিচরণ করছিল পশুপাখিরা। তবে অকারণ দিপাবলির ফলে আবারও পরিবেশ দূষণ বাড়ল খানিকটা। যদিও বিজেপি নেতাদের একটাই বক্তব্য, মোদি বলেছিলেন শুধুমাত্র প্রদীপ, মোমবাতি, টর্চ কিংবা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালাতে। তা সত্ত্বেও কেন অনেকে বাজি ফাটালেন সে তত্ত্ব গেরুয়া শিবিরের কাছে অজানা।
The post নমোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রদীপ জ্বালানোর পর ফাটল দেদার শব্দবাজি, আগুনের গ্রাসে আবাসন appeared first on Sangbad Pratidin.
