সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবের ভাটিন্ডার (Bhatinda) সেনাঘাঁটিতে গুলি করে চার জওয়ানকে খুনের অভিযোগে একজনকে আটক করল পুলিশ। গত ১২ এপ্রিলের ওই ঘটনায় এক জওয়ানকেই আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে আরও চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ভাটিন্ডা পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই গুলি চালিয়ে সহকর্মীদের খুন করেছেন ওই জওয়ান।
গত বুধবার সাড়ে চারটে নাগাদ গুলি চলে পাঞ্জাবের (Punjab) ভাটিন্ডা সেনা ঘাঁটিতে। যার জেরে গুলিবিদ্ধ মৃত্যু হয় ৪ জওয়ানের। পুলিশ জানিয়েছিল সাদা রঙের কুর্তা-পাজামা পরে বহিরাগত আততায়ীরা সেনা ছাউনিতে ঢুকেছিলেন। তারাই হত্যালীলা চালান। তারপর দ্রুত পালিয়ে যান সেনা ঘাঁটি লাগোয়া জঙ্গলের দিকে। এমন ঘটনায় দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়েছে। দেশের জওয়ানদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় অস্বস্তিতে সেনা (Indian Army) এবং স্থানীয় প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: ৬৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার জীবনকৃষ্ণর দ্বিতীয় মোবাইল, পুকুরে এখনও জারি তল্লাশি]
এই ঘটনার ৫ দিন পরে প্রথম কাউকে আটক করে পাঞ্জাব পুলিশ। আরও চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, নাশকতা বা সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা নয় এই বিষয়টি। সহকর্মীদের সঙ্গে মতানৈক্য ও মনোমালিন্যের কারণে প্রতিশোধ নিতেই গুলি চালানো হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে আটক জওয়ানের নাম দেশাই মোহন।
গুলিকাণ্ডের পর যে এফআইআর দায়ের হয়েছিল তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, একটি ইনসাস রাইফেল থেকে গুলি চালানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে, সেটি সপ্তাহ দুয়েক আগেই ল্যান্স নায়েক মুপদি হরিশকে দেওয়া হয়েছিল। ৯ এপ্রিল সেটি খোয়া গিয়েছিল। একইসঙ্গে খোয়া গিয়েছিল ২৮ রাউন্ড গুলি। আরও প্রশ্ন, কাছে পুলিশ স্টেশন, তবু ১০ ঘণ্টা পর পুলিশে খবর দেওয়া হল কেন?
[আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা, অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার জীবনকৃষ্ণ সাহা]