সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগে গুজরাটের (Gujarat) একটি কলেজের অধ্যক্ষাকে হেনস্তা হতে হয় ছাত্র সাংসদের এক নেতার হাতে। ওই অধ্যক্ষাকে বাধ্য হয়ে এক ছাত্রীর পায়ে হাত দিয়ে ক্ষমা চাইতে হয়। এবার খোদ বিধায়কের (MLA) হাতে হেনস্তা হলেন কর্ণাটকের (Karnataka) একটি আইটিআই কলেজের অধ্যক্ষ। বিধায়ক সপাটে চড় কষালেন ওই অধ্যক্ষর গালে। বিতর্কিত ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঠিক কী ঘটেছিল?
কর্ণাটকের মান্ডিয়ায় (Mandya) লজ্জাজনক ঘটানটি ঘটে গত ২০ জুন। ওই দিন নালওয়াড়ি কৃষ্ণা রাজা ওয়ারিয়ার আইটিআই কলেজ (Nalwadi Krishna Raja Wediyar ITI college) পরিদর্শনে আসেন জনতা দলের (ধর্মনিরপেক্ষ) বিধায়ক শ্রীনিবাস (Srinivas)। সম্প্রতি ওই কলেজের মূল ভবন-সহ একাধিক ভবনের সংস্কারের কাজ হয়েছে। জানা গিয়েছে, পরিদর্শনে এসে কলেজের কম্পিউটার ল্যাবের সংস্কার কতটা হয়েছে তা জানতে চান বিধায়ক। ওই মুহূর্তে প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেননি অধ্যক্ষ। তাতেই বেজায় ক্ষিপ্ত হন বিধায়ক শ্রীনিবাস।
[আরও পড়ুন: অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণায় হতাশ হয়ে আত্মঘাতী ১৯ বছরের তরুণ, চাঞ্চল্য রাজস্থানে]
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, বিধায়কের সঙ্গে বেশ কয়েকজন নেতা এবং কলেজেরও কয়েকজন কর্মী রয়েছেন। একজন মহিলাও পাশে দাঁড়িয়ে। তাঁদের সামনেই অধ্যক্ষের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে চড় মারার ভঙ্গিতে হাত তোলেন বিধায়ক। এরপর সপাটে থাপ্পড় কষান অধ্যক্ষের গালে। বাকিরা ঘটনার আকস্মিকতায় ঘাবড়ে যান। যদিও কেউই বিধায়কের এমন কাজের প্রতিবাদ করেননি।
নেটপাড়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হতেই জনতা দলের ওই বিধায়ককে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এভাবে একজন কলেজের অধ্যক্ষের গায়ে হাত তোলায় নিন্দা করছেন সকলেই। টুইটারে এক নেটিজেনের মন্তব্য করেন, “অধ্যক্ষের সহকর্মীরা গোটা ঘটনা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন! সকলের অধ্যক্ষের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল।” একজনের বক্তব্য, “বিধায়কের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করা উচিত অধ্যক্ষের।”
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে মহানাটকের মাঝেই করোনা আক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে]
উল্লেখ্য, গুজরাটের অধ্যক্ষার হেনস্তার ঘটনাটি ছিল আমেদাবাদের এসএএল ডিপ্লোমা কলেজের। দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর হাজিরা নিয়ে অধ্যক্ষার সঙ্গে বচসা বাধে এভিবিপি নেতা অক্ষত জয়সওয়ালের। যার পর অধ্যক্ষা ছাত্রীর পায়ে হাত দিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন।