shono
Advertisement

পথের দিশা পথেই, পরিবেশবান্ধব উপায়ে রাস্তা তৈরি করছে লখনউ উন্নয়ন পর্ষদ

প্লাস্টিকজাত বর্জ্র মিশিয়ে গোমতী নগর থেকে আইআইএম পর্যন্ত তৈরি হবে রাস্তা৷
Posted: 03:27 PM Jun 17, 2019Updated: 03:27 PM Jun 17, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবেশ সচেতনতায় নতুন রাস্তা দেখাচ্ছে লখনউ৷ একেবারে রাস্তা তৈরির মাধ্যমেই৷ লখনউয়ের গোমতী নগর পুলিশ স্টেশন থেকে আইআইএম পর্যন্ত রাস্তা তৈরির উপকরণ একশো শতাংশ পরিবেশবান্ধব৷ প্লাস্টিক থেকে তৈরি বর্জ্র৷ আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে কাজটি শুরু হচ্ছে৷ পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি বুঝে বৃহত্তর পরিসরে তা আনা হবে বলে জানা গিয়েছে লখনউ উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: টার্গেট ২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচন, নিয়মিত যোগীর রাজ্যে সফর করবেন প্রিয়াঙ্কা]

বিভিন্ন মেট্রোপলিটান শহরেই দূষণের মাত্রা বাড়ছে৷ কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছেই৷ গাড়িঘোড়ার সংখ্যা বাড়তে থাকায় দূষিত হচ্ছে বাতাস৷ এই সমস্যার মুখোমুখি কমবেশি সকলেই৷ লখনউও ব্যতিক্রম নয়৷ ব্যতিক্রমী কেবল স্থানীয় প্রশাসনের ভাবনা, উদ্যোগ৷ দূষণ রোধে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব উপায়ে একটি রাস্তা তৈরি করতে চান লখনউ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কর্তারা৷ পর্ষদের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার ইন্দুশেখর সিংয়ের কথায়, ‘কোল টার অর্থাৎ রাস্তা তৈরির মূল উপাদানের সঙ্গে প্লাস্টিকজাত বর্জ্র পদার্থ মিশিয়ে দিলে রাস্তার স্থায়িত্ব অনেক বেশি হয়৷ কোল টারের সঙ্গে মোটামোটি ৮-১০ শতাংশ প্লাস্টিকজাত বর্জ্র মিশিয়ে কাজ করা হয়৷ বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমরা এভাবে রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে এনেছি৷’

তবে পরিবেশবান্ধব উপায়ে এভাবে রাস্তা তৈরির কথা শুধু লখনউ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির একাই ভাবেনি৷ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সেন্ট্রাল রোড রিসার্চ ইনস্টিটিউটকে দিয়ে রীতিমতো গবেষণা করানো হয়েছে৷ খতিয়ে দেখা হয়েছে বিস্তারিত রিপোর্ট৷ ইঞ্জিনিয়ার ইন্দুশেখর সিং জানিয়েছেন, ‘সিআরআআই-এর রিপোর্ট থেকে আমরা দেখেছি, প্লাস্টিকজাত বর্জ্র মেশালে রাস্তার স্থায়িত্ব অন্তত ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ে৷ আমরা যদি ৫০ মাইক্রনের কম ঘনত্বের প্লাস্টিক ব্যবহার করি, তাহলে রাস্তা দীর্ঘদিন ভাল থাকবে৷’

[আরও পড়ুন: ‘বাবরি ভেঙেছে শিব সৈনিকরা’, রাম মন্দির নির্মাণের ডাক দিয়ে বিস্ফোরক উদ্ধব]

লখনউ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি সূত্রে খবর, বিদেশে এমন পরিবেশবান্ধব উপায়ে রাস্তা তৈরির কথা শুনে তাঁরা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন৷ এখানেও এভাবে রাস্তা তৈরি করা যায় কি না, তার ভাবনাচিন্তা চলছিল৷ আগামী ২ বছরের মধ্যে কাজটি শেষ করতে চান তাঁরা৷ এভাবে স্থানীয় প্রশাসনিক স্তরে দূষণ কমানোর জন্য সচেষ্ট হলে, গোটা দেশেই তা দৃষ্টান্ত হতে পারে বলে মনে করছে লখনউ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement