নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: তৃতীয় মোদি সরকারের বাজেটে বাংলার জন্য কী কী বরাদ্দ, স্বাভাবিকভাবেই সেদিকে নজর ছিল। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বাজেট পেশ করতেই দেখা গেল, বাংলার ঝুলি শূন্য। তবে ভোটমুখী বিহারের জন্য রয়েছে একাধিক ঘোষণা। চলতি বছর নির্বাচন বলেই বিহারকে এই 'উপহার'। বাজেট ইস্যুতে মোদি সরকারকে তোপ দেগে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বললেন, "বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলা বঞ্চিত, আগেও ছিল, এবারের বাজেটেও ফের তা প্রমাণিত।"
শনিবার সকালে ঘড়ির কাঁটায় ১১ টায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বাজেট পেশ করেন। সাকুল্যে ১ ঘণ্টা ১৬ মিনিটের ভাষণ। আর তা নিয়ে চর্চা দেশজুড়ে। এবারের বাজেটে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর ছাড়, MSME (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প) বৃদ্ধিতে নতুন ঋণ প্রকল্প-সহ একাধিক ঘোষণা করা হয়েছে। বিহারের জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড টেকনোলজি-সহ একাধিক ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। তার মধ্যে রয়েছে পাটনা বিমানবন্দর সম্প্রসারণ, শিল্প ও পরিষেবা পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য চারটি নতুন গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর, একটি ব্রাউনফিল্ড বিমানবন্দর। পাটনা আইআইটিতে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ানোর জন্যও বরাদ্দ করা হয়েছে। মাখনা চাষিদের জন্য আলাদা করে মাখনা বোর্ড গঠনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মিথিলাঞ্চল এলাকার ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষবাসের জন্য কুশি খাল প্রকল্প খননে কেন্দ্রীয় সহায়তার কথাও জানিয়েছেন নির্মলা সীতারমণ। অর্থাৎ বিহারকে দুহাত ভরে দিয়েছে মোদি সরকার। এদিকে বাংলার পাওনা একেবারে শূন্য। তা নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী বলেছেন অভিষেক? তাঁর কথায়, যখন বাংলায় বিজেপির ১৮ জন সাংসদ ছিলেন সেই সময়ও বাংলা বঞ্চিত ছিল। এখন ১২ জন সাংসদ, এখনও পরিস্থিতি একই। বাংলার জন্য বরাদ্দ বলতে কিছুই নেই। এরপরই বিহারের বরাদ্দের পিছনে ভোটবাক্স ও শরিকি অঙ্ক বলেই দাবি করলেন অভিষেক। তিনি বলেন, "আগেরবার অন্ধ্রপ্রদেশ ও বিহারের জন্য ভাবা হয়েছিল। অন্ধ্রপ্রদেশের ভোট মিটে গিয়েছে। সামনে বিহারের নির্বাচন। সেই কারণেই বিহারকে এই উপহার।" তবে আয়ে কর ছাড় প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে চাননি অভিষেক। বাজেট পুরোপুরি পড়ার পর এবিষয়ে যা বলার বলবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।
