সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডগবাবুকে নিয়ে চরম বিতর্কের মাঝেই এবার বিহারে আবাসিক শংসাপত্র পেতে অনলাইনে আবেদন জানাল কাক। শুধু তাই নয়, এই তালিকায় রয়েছেন ভগবান রাম, মাতা সীতা-সহ আরও অদ্ভুত সব নাম। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছে। এহেন মশকরায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ প্রশাসন। আবেদন খারিজ তো বটেই এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) চলছে বিহারে। ভোটার কার্ডে নাম তুলতে আবাসিক শংসাপত্র পাওয়ার ভুরি ভুরি আবেদন পড়ছে অনলাইনে। সেই আবেদনপত্রেই খগড়িয়া জেলার একাধিক প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেছে অদ্ভুত সব নাম। স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন জানিয়েছে একটি কাক। তার নামের জায়গায় লেখা রয়েছে 'কাউয়া'। বাবার নাম কাউয়া সিং। ছবির জায়গায় সাঁটানো হয়েছে কাকের ছবি। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এই আবেদন জানানো হয়েছিল। একইভাবে আবেদন এসেছে রাম ও সীতার নামেও। রামের আবেদনপত্রে পিতার নাম দেওয়া হয়েছে দশরথ, ঠিকানা অযোধ্যা। ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে ৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯।
এই ঘটনায় খগড়িয়ার অঞ্চলাধিকারিক আমির হুসেন জানান, ওই বিদঘুটে আবেদনপত্র ইতিমধ্যেই খারিজ করা হয়েছে। রাজস্ব আধিকারিক শম্ভু কুমার জানিয়েছেন, প্রশাসনের সঙ্গে এই ধরনের মশকরা রুখতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যারা এইসব কাণ্ড করছেন তাদের রেহাত করা হবে না। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এই ধরনের ঘটনা বিহারে নতুন কিছু নয়। এর আগে ডগবাবু নামে এক কুকুরের নামে আবাসিক শংসাপত্র প্রকাশ করেছিল বিহার প্রশাসন। সেই ঘটনা সামনে আসতেই সংশ্লিষ্ট রাজস্ব আধিকারিককে বরখাস্ত করে সরকার। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ১৫ জুলাই দিল্লির এক মহিলার আধার কার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে ডগবাবুর নামে আবেদন করা হয়েছিল। আবেদনে দেওয়া নথিপত্র যাচাই না করেই আবাসিক শংসাপত্র জারি করা হয়েছিল। যে ব্যক্তি এই আবেদন করেছিলেন তারও খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
