সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল ২ পাক জঙ্গি। দিনের আলো ভালো করে ফোটার আগেই বুধবার সকালে ওই দুই জঙ্গিকে 'যমের দুয়ারে' পাঠাল সেনা। এদিন পুঞ্চের কাসালিয়ান এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই চলে জঙ্গিদের। গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় জঙ্গিদের। মৃত জঙ্গিদের নাম-পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও প্রকাশ না করা হলেও জানা যাচ্ছে, ওই দুই জঙ্গিই লস্কর সদস্য।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে পুঞ্চে জঙ্গল লাগোয়া অঞ্চল দিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল ওই জঙ্গিরা। বিএসএফ তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযান চালালেও রাতের অন্ধকার ও ঘন জঙ্গলের সুযোগ নিয়ে বিএসএফের হাত থেকে বেঁচে যায়। খবর পেয়ে এরপর তাদের নিকেশের দায়িত্ব নেয় সেনা। সেইমতো শুরু হয় নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া অঞ্চলে অভিযান। সেনা উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সুযোগ না পেয়ে বেপরোয়া ভাবে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। প্রত্যুত্তরও মেলে যথাযথভাবে। দীর্ঘক্ষণ দু'পক্ষের গুলির লড়াই চলার পর দুই জঙ্গিকেই খতম করা হয়েছে। গত সোমবার অপারেশন মহাদেবের পর ফের উপত্যকায় বিরাট সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী।
উল্লেখ্য, সোমবার শ্রীনগরে ‘অপারেশন মহাদেবে’ অভিযানে পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত ৩ পাক জঙ্গিকেই খতম করেছে ভারতীয় সেনা। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হামলার পর এতদিন গা ঢাকা দিয়ে ছিল জঙ্গিরা। তবে সম্প্রতি জঙ্গিদের কাছে থাকা টি৮২ আল্ট্রাসেট কমিউনিকেশন ডিভাইস চালু করে জঙ্গি মুসা। সেই সূত্র ধরেই তার লোকেশন খুঁজে হত্যা করা হয় জঙ্গিদের। সকাল ৮টা থেকে ১১টা মাত্র তিন ঘণ্টার অপারেশনে মুসার পাশাপাশি খতম হয় আরও দুই পাক জঙ্গি। সবমিলিয়ে ২২ এপ্রিলের বদলার ৩ মাস পর জঙ্গিদের করে সেনা।
এদিকে রিপোর্ট বলছে, কাশ্মীরে সন্ত্রাসের বীজ নতুন করে বপন করতে তৎপর হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। সেই লক্ষ্যে অধিকৃত কাশ্মীর থেকে জঙ্গিদের ভারতে ঢোকাতে সক্রিয় হয়েছে লস্কর। গত কয়েকদিনে একাধিক জায়গায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা চললেও তা ব্যর্থ করেছে বিএসএফ। এবার দুই জঙ্গি সীমা পার করলেও ভোরের আলো ভালো করে ফোটার আগেই তাদের নিকেশ করল সেনা।
