সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন বিশ্বাস কুমার রমেশ। কিন্তু আহমেদাবাদের মরণউড়ান থেকে বেঁচে ফিরতে পারেননি তাঁর দাদা অজয়। দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পরে দাদার শেষকৃত্যে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রমেশ। সেই ভিডিও দেখে নেটদুনিয়ারও চোখ ভিজেছে।
আসন নম্বর ১১এ। যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ। এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর গোটা বিশ্ব চিনে ফেলেছে তাঁকে। অবিশ্বাস্যভাবে মৃত্যুকে ধোঁকা দিয়ে কার্যত যমের দুয়ার থেকে হেঁটে অ্যাম্বুল্যান্সে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু রমেশের মতো সৌভাগ্য হয়নি বিমানের বাকি যাত্রীদের। তাঁদের কেউই বেঁচে ফিরতে পারেননি। না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন রমেশের দাদা অজয়ও। বিমানে চেপে লন্ডনে ফিরছিলেন দুই ভাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মর্মান্তিক পরিণতি হল অজয়ের।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই লন্ডন থেকে চলে এসেছিলেন রমেশ-অজয়ের পরিবার। তাঁরা ভারতে পৌঁছনোর পর রমেশকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দিউয়ে রমেশের পারিবারিক বাড়ি রয়েছে। সেখানেই অজয়ের শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়। দাদার শেষকৃত্যে যেন উপস্থিত থাকতে পারেন, সেজন্য় মঙ্গলবার রাতে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া দেওয়া হয় রমেশকে।
মঙ্গলবার গভীর রাতেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় অজয়ের দেহ। তারপর বুধবার দুপুরে দিউয়ের শ্মশানে অজয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। মাথায়-চোখে ব্যান্ডেজ নিয়ে দাদাকে শেষবার দেখার জন্য শেষকৃত্যে পৌঁছেছিলেন রমেশ নিজেও। সেখানে গিয়ে হাউহাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। উল্লেখ্য, আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা এক পলকে ওলট-পালট করে দিয়েছে সবকিছু। বৃহস্পতিবারের অভিশপ্ত দুপুর কেড়ে নিয়েছে ২৫০ জনের বেশি মানুষের প্রাণ। কিন্তু মৃত্যুমিছিলের মধ্যেও অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে গিয়েছেন রমেশ।
