সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহ পেরনোর আগেই কি ভাঙন 'ঠাকরে' জোটে! দেবেন্দ্র ফড়ণবিস-রাজ ঠাকরে সাক্ষাতের পর মহারাষ্ট্র জুড়ে চলছে এমনই জল্পনা। গত সপ্তাহেই শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত জানিয়েছিলেন, দীর্ঘ ২০ বছর পর ফের জোট বেঁধেছেন উদ্ধব ঠাকরে ও রাজ ঠাকরে। শিবসেনার উদ্ধব শিবির ও মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা মুম্বই পুরনিগমের নির্বাচনে বিজেপিকে টক্কর দেবে বলেও জানান শিবসেনা সাংসদ।
বুধবারই যখন মুম্বই পরিবহণ এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থার কর্মী ইউনিয়নের নির্বাচনে 'ঠাকরে' জোট সমর্থিত প্রার্থীরা চুড়ান্তভাবে পরাজিত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস মন্তব্য করেন, ‘ঠাকরে ব্র্যান্ড’কে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার এক নেতার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগও সামনে এসেছে। রাত পেরোতেই বৃহস্পতিবার ফড়ণবিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ ঠাকরে। তাতেই তৈরি হয়েছে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত।
যদিও রাজ ঠাকরে সব জল্পনা উড়িয়ে জানান, শহর উন্নয়ন সংক্রান্ত আলোচনার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরেছেন তিনি। মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান আরও জানান “মহারাষ্ট্রের নানা শহরে পুনর্নির্মাণ চলছে। জনসংখ্যা বাড়ছে, যানজট বাড়ছে। মুম্বইয়ে তো ভয়াবহ যানজট। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও মুম্বই পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। পরিকল্পনার একটি নকশাও উপস্থাপন দিয়েছি, আশা করি সরকার গুরুত্ব সহকারে পদক্ষেপ নেবে।”
মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারও এই সাক্ষাৎকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি সাফ জানাচ্ছেন “এটি আমাদের সংস্কৃতির অংশ—মানুষ বড় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে যায়। এর মধ্যে অন্য কোনও রাজনৈতিক অর্থ খোঁজার প্রয়োজন নেই।”
দীর্ঘ ২০ বছর পর সম্প্রতি কাছাকাছি এসেছে দুই ঠাকরে পরিবার। আসলে রাজনৈতিক কারণেই হাত মিলিয়েছেন দুই তুতোভাই। কারণ, সদ্যই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে দু’দলের। উদ্ধব কোনওরকমে মুম্বই এলাকায় নিজের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রেখেছেন। আর রাজ ঠাকরে নিজের ছেলেকেও জেতাতে পারেননি। দুই দলই এখন অস্তিত্বের সংকটে। সে কারণেই বিএমসির ভোটে দুই ভাইয়ের একসঙ্গে লড়ার সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও তার আগে দেবেন্দ্র ফড়ণবিস ও রাজ ঠাকরের বৈঠককে হালকা ভাবে নিতে নারাজ রাজনৈতিক মহল। যে কোনও দিন 'ঠাকরে' জোট ভাঙার জল্পনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।
