সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সংখ্যাগুরু হিন্দুদের ইচ্ছেমতোই দেশ চলবে বলে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি শেখর যাদব। বিতর্কের চারদিন পরে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করলেন এলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ বনশালি। বদলে দিলেন তাঁর রস্টার।
নয়া রস্টার অনুযায়ী, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হওয়া প্রথম আপিলেরই শুনানি হবে তাঁর এজলাসে। তাও কেবলমাত্র ২০১০ পর্যন্ত রুজু হওয়া মামলারই। ১৬ ডিসেম্বর থেকে নতুন রস্টার কার্যকর হবে। এতদিন পর্যন্ত ধর্ষণ ও যৌন হেনস্তার মতো মামলার 'গুরুত্বপূর্ণ' জামিনের আবেদনের শুনানি হত বিচারপতি যাদবের এজলাসে। ২০১৯ সালে হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হওয়ার পর ২০২১ সালেই স্থায়ী বিচারপতি হন শেখর যাদব। ২০২৬ সালে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা।
গত রবিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের ওই বিচারপতি। জনতার উদ্দেশে তিনি সাফ জানান, “দেশে আইন কার্যকর হয় সংখ্যাগুরুদের কথা মাথায় রেখে। একটি পরিবার বা সমাজের আঙ্গিকে ভাবুন, যা সংখ্যাগুরুকে সুবিধা দেয় এবং খুশি করে, সেটাই দেশের আইন হিসাবে গ্রহণযোগ্য। দ্বিধাহীনভাবে বলছি, এটা হিন্দুস্থান। সংখ্যাগুরুদের ইচ্ছেমতোই দেশ চলবে।” এমন ভাষণ শুনে নিন্দার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। জানা গিয়েছে, শেখর কুমার যাদবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চলেছেন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। রাজ্যসভার সাংসদরা ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনতে চলেছেন এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতির বিরুদ্ধে। তাঁদের নেতৃত্বে রয়েছেন নির্দল সাংসদ তথা বিখ্যাত আইনজীবী কপিল সিবাল। ইতিমধ্যেই ৩৬ জন বিরোধী সাংসদ ইমপিচমেন্টের পক্ষে মত দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে, ক্যাথলিকদের তরফেও সাংসদদের অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।