সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিযোগ, বারো বছরের বালিকাকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন ৫৬ বছরের প্রৌঢ়। পুলিশের কাছে গেলেও নাকি লাভ হয়নি। আর তাই সুদূর কুয়েত থেকে অন্ধ্রপ্রদেশে এসে সেই 'রাক্ষস'কে হত্যা করলেন মেয়েটির বাবা। নিজেই একটি ভিডিও বার্তায় সব কথা কবুল করার সময় এমনই দাবি করেছেন তিনি। তবে ভারতে তিনি নেই। ফিরে গিয়েছেন কুয়েতে। তাঁর ভিডিও পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে তাঁকে গ্রেপ্তার করার।
ভিডিওয় অভিযুক্ত হত্যাকারীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''আমার স্ত্রী পুলিশে অভিযোগ জানালে ওই রাক্ষস ঘুষ দিয়ে রেহাই পায়। আমি এটা মানতে পারিনি।'' তাঁর এমন স্বীকারোক্তি পাওয়ার আগে পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল। কিন্তু এবার সরাসরি এই ব্যক্তি অপরাধ কবুল করায় নতুন করে সাজানো হচ্ছে মামলা। সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ভিডিওটি।
অন্ধ্রপ্রদেশের আন্নামালাই জেলার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী কুয়েতে থাকেন কর্মসূত্রে। তিনি সেখানে শ্রমিকেদর কাজ করতেন। কিন্তু তাঁদের একমাত্র মেয়েটিকে রেখে গিয়েছিলেন দেশেই। সে থাকত মাসির বাড়িতে। অভিযোগ, সেখানেই যৌন হেনস্তা করা হয় তাকে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির শ্যালিকার শ্বশুর। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি দেখেই কুয়েত থেকে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন অভিযুক্ত হত্যাকারী। কেন অভিযুক্তকে স্রেফ মৌখিক ভাবে সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হল, প্রশ্ন তাঁর। গত ৭ তারিখে তিনি ভারতে ফেরেন। দাবি, এর পরই খুন করে তিনি ফের ফিরে গিয়েছেন কুয়েতে। পুলিশ ওই প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক ভাবে অবশ্য কোনওভাবেই সন্দেহ ঘনায়নি কুয়েতে থাকা বালিকার বাবার উপরে। কিন্তু ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্ত শ্রমিককে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখছে পুরো বিষয়টিই।