সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবে (Punjab) কংগ্রেসের অন্দরের অস্থিরতা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)। এই পরিস্থিতির জন্য কংগ্রেসের সভাপতির না থাকাকেই দায়ী করেছিলেন তিনি। কিন্তু গান্ধী পরিবারের সমালোচনা মেনে নিতে পারেননি কংগ্রেসের (Congress) নিচুতলার কর্মীরা। বুধবার সন্ধে থেকেই উত্তাল হয় সিব্বলের দিল্লির বাসভবন চত্বর। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে স্লোগান।
দেখা যায়, সন্ধের পর থেকেই সিব্বলের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে যান দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের (DPCC) নেতা-কর্মীরা। হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, “সিব্বল মানসিকভাবে অসুস্থ। তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।” এমনকী, সিব্বলের পদত্যাগের দাবিতে সরব হন তাঁরা। বাড়ির বাইরে রীতিমতো তাণ্ডব চালান কংগ্রেস কর্মীরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সিব্বলের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় ওঠে।
[আরও পড়ুন: শাড়ি পরায় মহিলাকে ঢুকতে বাধা দেওয়া রেস্তরাঁ বন্ধ করল দিল্লি পুরসভা]
কংগ্রেস কর্মীদের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন আরেক কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। টুইটারে লেখেন, “কপিল সিব্বলের বাড়িতে হামলার খবর শুনে আমি স্তম্ভিত। বিরক্তও। এই ঘটনা দলের সম্মান নষ্ট করছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করা উচিত। এ বিষয়ে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন আনন্দ শর্মা। তিনি লেখেন, “কংগ্রেস গণতান্ত্রিক দল। সেখান ভিন্নমত পোষণের জায়গা রয়েছে। যে কেউ নিজের মত প্রকাশ করতেই পারে। কিন্ত তার প্রেক্ষিতে এ ধরনের ঘটনা কংগ্রেসের সংস্কৃতিবিরোধী। যারা এর জন্য দায়ী তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া দরকার।”
[আরও পড়ুন: দিল্লির রাস্তায় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবৃষ্টি দুষ্কৃতীদের, এক সপ্তাহে দ্বিতীয়বার শুটআউট রাজধানীতে]
প্রসঙ্গত, পাঞ্জাবের (Punjab) রাজনীতিতে একের পর এক নাটকীয় মোড়। আর এই রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্কলহকে দায়ী করে তোপ দাগেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)। বলেন, “জি-২৩ গোষ্ঠী জি হুজুর গোষ্ঠী নয়।” সিব্বলের কথায়, ”কংগ্রেসে এই মুহূর্তে কোনও নির্বাচিত সভাপতি নেই। আমরা জানিই না সিদ্ধান্তগুলি কে নিচ্ছে। কেন সবাই দল ছাড়ছে? আমাদের কি দেখা উচিত নয়, সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে? যাঁদের নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হতো, তাঁরাই দল ছেড়ে দিয়েছেন। আর যাঁরা নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ নন, তাঁরা কিন্তু এখনও দলে রয়ে গিয়েছেন।” উল্লেখ্য, গত বছরই সোনিয়া গান্ধীকে কংগ্রেসের যে ২৩ জন নেতা দ্রুত সভাপতি নির্বাচনের আরজি জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন, সেই দলেরই অন্যতম কপিল।