সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপিতে যোগ দিলেন অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের শেষ মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কিরণ কুমার রেড্ডি। দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল আগেই। এবার সব সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়ে নতুন করে শুরু করতে চাইছেন কিরণ (Kiran Kumar Reddy)।
শুক্রবার দিল্লিতে বিজেপির (BJP) সদর দপ্তরে বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন কিরণ। আগেই অবশ্য কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে চিঠি লিখে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বিজেপিতে স্বাগত জানান সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Prahlad Joshi)। এই নিয়ে গত দু’দিনে দক্ষিণ ভারতের দুই নেতা নাম লেখালেন গেরুয়া শিবিরে। বৃহস্পতিবারই গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি (Anil Antony)। অনেকে মনে করছেন, কর্ণাটকের ভোটের আগে সুকৌশলেই দক্ষিণের নেতাদের যোগদান করাচ্ছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: ‘প্রথমে ওর বাবাকে মারলাম, তারপর মাকে, তারপর দিদিকে…’, আশ্চর্যরকম নির্লিপ্ত শীতলকুচি কাণ্ডের ‘খুনি’]
গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে কিরণ কুমার রেড্ডি বলছেন, “কখনও ভাবিনি আমাকে কংগ্রেস ছাড়তে হবে। কিন্তু কংগ্রেসের (Congress) অবস্থা এখন সেই রাজার মতো, যিনি নিজেকে ভীষণ বুদ্ধিমান মনে করেন এবং কারও পরামর্শ শোনেন না। নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ কমে আসায় কংগ্রেস একাধিক ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। অন্য দিকে বিজেপি সমাজের সব স্তরের মানুষের উন্নতির জন্য সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। আমি অনুপ্রাণিত এই কাজ দেখে।”
[আরও পড়ুন: শীতলকুচিতে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড, স্বামী ও মেয়ে-সহ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে কুপিয়ে খুন!]
যদিও কিরণের দলত্যাগকে সেভাবে ধাক্কা হিসাবে দেখছে না কংগ্রেস। অবিভক্ত অন্ধ্রে কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা ছিলেন কিরণ। ২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলেঙ্গানা (Telengana) গঠন করে। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন কিরণ। তৈরি করেছিলেন নিজের দল। সেই দল সাফল্য পায়নি। তারপর নিজেকে রাজনীতি থেকে দীর্ঘদিন সরিয়ে রেখেছিলেন। ২০১৮ সালে আবার কংগ্রেসে যোগ দেন। কিন্তু ততদিনে অন্ধ্রপ্রদেশে কংগ্রেস প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। দলের নেতাদের সঙ্গেও সেভাবে বনিবনা হয়নি কিরণের। সেকারণেই সম্ভবত দল ছেড়েছেন তিনি।