সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্রাছাড়া সুগার। পরিস্থিতি গুরুতর হতেই জেলে প্রথমবার ইনসুলিন পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টির সূত্রে দাবি করা হয়েছে এমনটাই। আপের দাবি অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর সুগারের মাত্রা ৩২০ পৌঁছে গিয়েছিল। ইডির গ্রেপ্তারি ও তিহার জেলে বন্দি হওয়ার পর প্রথম ইনসুলিন দেওয়া হল তাঁকে।
দীর্ঘ বছর ধরে ডায়াবেটিসের শিকার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। প্রতিদিন ইনসুলিন নিতে হয় তাঁকে। তবে জেলবন্দি হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বারবার ইনসুলিনের দাবি জানালেও তাঁর কথায় জেল কর্তৃপক্ষ কান দেয়নি বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিলেন তিনি। যদিও সোমবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত কেজরির ইনসুলিনের আবেদন খারিজ করে। এবং তাঁর চিকিৎসার সমস্ত ভার দেওয়া হয় দিল্লির এইমস হাসপাতালকে। সেখানকার চিকিৎসকদের নিয়ে গঠন করে দেওয়া হয় মেডিক্যাল বোর্ড।
[আরও পড়ুন: ভারতের বীরগাথা সিয়াচেন, ইঙ্গিতে পাকিস্তানকে সমঝে চলার হুঁশিয়ারি রাজনাথের]
আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, কেজরির শারীরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। প্রয়োজন বোধ করলে তারাই দেবেন ইনসুলিন (Insulin)। ১৫ দিন অন্তর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে আদালতকে। পাশাপাশি, বাড়ির খাবার খেলেও ডাক্তারের দেওয়া ডায়েট চার্ট মেনেই খেতে হবে তাঁকে। আদালতের নির্দেশ আসার পর তিহাড় জেলে (Tihar Jail) প্রথমবার ইনসুলিন দেওয়া হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে।
উল্লেখ্য, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ইনসুলিন নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন কিছু কম হয়নি রাজধানীর মাটিতে। আপের (AAP)তরফে অভিযোগ করা হয়, জেলের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আর এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত খোদ দিল্লির উপরাজ্যপাল। কেজরিকে ইনসুলিন দেওয়ার দাবিতে তিহাড়ের বাইরে বিক্ষোভও দেখান আপের কর্মী সমর্থকরা। পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোটের সভা থেকে এই ইস্যুতে ক্ষোভ উগরে কেজরির স্ত্রী সুনীতা বলেছিলেন, “উনি একজন সুগারের রোগী। ১২ বছর ধরে ইনসুলিন নেন। কিন্তু জেলে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে না। ওরা দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রীকে মেরে ফেলতে চায়।” টালমাটাল এই পরিস্থিতিতে সোমবার আদালতের নির্দেশ মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের পর প্রথমবার ইনসুলিন পেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।