সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ম যার যার, রাজনীতি যারা যার, কিন্তু দেশ সবার। তাই দেশের স্বার্থে রাজনীতি ভুলে 'পরম শত্রু'কেও আপন করে নিতে কুণ্ঠিত হন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আবার প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ পেয়ে বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের মুখোশ খোলার সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নন রাজনৈতিক বিরোধী আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও।
পহেলগাঁও সন্ত্রাস এবং অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের অবস্থান এবং পাকিস্তান কীভাবে প্রত্যক্ষে জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে, সেটা গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চায় ভারত। কেন্দ্র সরকার সেই লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভারত থেকে প্রতিনিধি দল পাঠাবে। ওই প্রতিনিধিদলে শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরেরই সাংসদরা থাকবেন। আর সেই দলের অন্যতম মুখ হতে চলেছেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। রাজনৈতিক বিরোধ ভুলে হায়দরাবাদের সাংসদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। ওয়েইসিও এই আমন্ত্রণ পাকিস্তানের মুখোশ খোলার সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করেছেন।
এমনিতে ওয়েইসি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির প্রবল বিরোধী। বিজেপির রাজনৈতিক শত্রু। তবে পহেলগাঁও হামলার পর রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এমনভাবে এই ইস্যুতে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করেছেন, যা শাসক শিবিরের অনেক সাংসদ বিধায়ক পারেননি। তাছাড়া ওয়েইসি সুশিক্ষিত, সুবক্তা। নিজে দক্ষ আইনজীবী। আন্তর্জাতিক কূটনীতি সম্পর্কেও জ্ঞানী। তাই সরকার মনে করছে সর্বদলীয় প্রতিনিধিতে তাঁকে রাখা উচিত। তাছাড়া বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের মুখোশ খোলার কাজটা যদি ওয়েইসির মতো সংখ্যালঘু কেউ করেন, তাহলে সেটা আলাদা বার্তাবহ হতে পারে।
এই সুযোগকে পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা হিসাবেই দেখছেন ওয়েইসি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলছেন, "ভারত সেই জিয়াউল হকের সময় থেকেই পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের শিকার। আমাদের গোটা বিশ্বের সামনে সেটা তুলে ধরতে হবে। কান্দাহার বিমান অপহরণ হোক, সংসদে হামলা হোক, উরি হোক, পাঠানকোট হোক, আজকের পহেলগাও হোক। পাক সন্ত্রাসের মুখোশ উন্মোচন করতেই হবে। আমি জানি না আমার সঙ্গে আর কোন কোন সাংসদ যাবেন। কে আমাদের গ্রুপের চেয়ারপার্সন হবেন। শুধু জানি, আমাদের কাছে দেশই প্রথম। পাকিস্তান নিজেদের মুসলিম দেশ হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। কিন্তু ভারতেও ২০ কোটির বেশি মুসলিম আছে। সেটাও বিশ্বকে জানাতে হবে।" বলে দিচ্ছেন ওয়েইসি।
