সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্মস্থলে দুর্নীতিতে সঙ্গ দিতে ক্রমাগত চাপ! দুই সহকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে অসমে আত্মঘাতী এক তরুণী ইঞ্জিনিয়র। মঙ্গলবার বিকেলে ভাড়া বাড়ির ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর দেহের পাশেই মিলেছে সুইসাইড নোটও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম জ্যোতিশা দাস। বয়স ৩০ বছর। তিনি অসমের পূর্ত দপ্তরের একজন ইঞ্জিনিয়র ছিলেন। তাঁর বাড়ি গুয়াহাটিতে হলেও কর্মসূত্রে জ্যোতিশা বনগাইগাঁওতে বসবাস করতেন। সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন, ‘কর্মস্থলে মানসিক চাপের কারণে আমি এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হচ্ছি। অফিসে আমাকে পথ দেখানোর কেউ নেই। আমি ক্লান্ত, কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আমার বাবা-মা আমার জন্য চিন্তিত।’ পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, দুর্নীতিতে সঙ্গ দিতে এবং একটি ‘ভুয়ো বিল’ পাশ করানোর জন্য অফিসের দুই সহকর্মী তাঁকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিলেন।
জ্যোতিশার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। ইতিমধ্যেই দীনেশ মেধি শর্মা নামে এক ইঞ্জিনিয়রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এছড়াও পুলিশের জালে ধরা পড়েছে আমিনুল ইসলাম নামে এক আধিকারিক। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সংশ্লিষ্ট ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
