সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, মণিপুর এবং গোয়া। ভোটমুখী এই পাঁচ রাজ্যে এখনই সশরীরে জনসভা বা মিছিল করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি। ভোট ঘোষণার সময়ের জারি এই নিষেধাজ্ঞা ফের বাড়াল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। দেশে কোভিড পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনই সশরীরে জমায়েতে অনুমতি দিতে নারাজ কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে আপাতত আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি অবধি নির্বাচনী প্রচারে থাকবে নিষেধাজ্ঞা।
১১ ফেব্রুয়ারি অবধি রাজনৈতিক জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা বাড়ালেও বেশ কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে আজ। আগে ৫০০ জনকে নিয়ে সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এবার তা বাড়িয়ে ১০০০ জন করা হয়েছে। এছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারে আগে একসঙ্গে ১০ জনের থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এবার তা বাড়িয়ে ২০ জন করা হয়েছে। রাজনৈতিক শিবিরগুলির ঘরোয়া বৈঠকের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ৫০০ জনকে নিয়ে বৈঠক করা যাবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে বিশাল জনতা নিয়ে মিছিল করার ক্ষেত্রে জারি থাকছে নিষেধাজ্ঞা।
[আরও পড়ুন: পুরভোট পিছতে পারে কে? হাই কোর্টের প্রশ্নে একে অন্যের দিকে আঙুল তুলছে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের]
গত ৮ জানুয়ারি পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সেসময় কোভিড পরিস্থিতিতে ভোটপ্রচারে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র (Sushil Chandra) জানিয়ে দেন, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও রোড শো, পদযাত্রা, সাইকেল-বাইক র্যালি করা যাবে না। করা যাবে না কোনও জনসভা। পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে জনসভার অনুমতি দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুধু বড় জনসভা নয়, পথসভা বা বাড়ি বাড়ি প্রচারেও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল, সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কোনও সভা বা পথসভা করা যাবে না। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোট প্রচারের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে নিয়ে সর্বোচ্চ ৫ জন থাকতে পারবেন। কোনও প্রার্থী কোভিড বিধি ভাঙলে কড়া ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হবে।
[আরও পড়ুন: আচমকা পাঞ্জাবের ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি কংগ্রেসের, নির্বাচন কমিশনকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রী চান্নির]
প্রসঙ্গত, প্রথমবার ১৫ জানুয়ারি অবধি নিষেধাজ্ঞা জারি থাকার পর তা এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছিল। যা শেষ হচ্ছে আজ ৩১ জানুয়ারিতে। এদিনই ফের ১১ ফেব্রুয়ারি অবধি নিষেধাজ্ঞা বাড়াল কমিশন।