বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: সংসদের অধিবেশন কক্ষে বসেই ই-সিগারেট সেবন কাণ্ডের তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। শুক্রবার ছিল সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিন। এদিন প্রশ্নের উত্তরে সংসদীয় মন্ত্রী জানান, ঘটনার তদন্ত হবে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে।
অধিবেশন কক্ষে বসে নিষিদ্ধ ই-সিগারেট সেবনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের এক সাংসদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর। বিজেপির তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছলে তিনি জানান, তদন্তে দোষী প্রমানিত হলে দলীয়স্তরে পদক্ষেপ করা হবে।
আজ থেকে প্রায় ১৮ বছর আগে সংসদে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। সংসদে সিগারেট নিষিদ্ধ হওয়ায় অনেক সাংসদ সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেন। এবার সেই সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ছড়ায় সংসদে। তৃণমূলের সাংসদ কীর্তি আজাদ অধিবেশন চলাকালীন সিগারেট খান বলে অভিযোগ ওঠে। অধিবেশনের শেষ দিন তদন্তের আশ্বাস দেন সংসদীয় মন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল হতেই হস্তক্ষেপ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি কিছু বলবেন না বলে জানান।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিজেপির তরফে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। এই আবহে তৃণমূলের বক্তব্য, পাঁচ সেকেন্ডের ঝাপসা ভিডিও বা মুখ ঢাকা কোনও ফুটেজ দেখে সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায় না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পার্লামেন্টে কম করে ১০০টা ক্যামেরা আছে। অফিশিয়াল ফুটেজ দিন, রিলিজ করুন। দরকার হলে দলীয় স্তরে তদন্তের ব্যবস্থা হবে। কারও স্পেকুলেশনের উপর মন্তব্য করব না।" তিনি এক ধাপ এগিয়ে নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙুল তোলেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, "এই ইলেকশন কমিশন একটা করে হোয়াটসঅ্যাপ লিক করছে আর প্রশ্ন ছুড়ছে—এ ভাবে চলবে না। অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট চাই।"
উল্লেখ্য, ভারতে ই সিগারেট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ২০১৯ সালের ইলেকট্রনিক সিগারেট নিষেধাজ্ঞা আইন অনুযায়ী ই সিগারেটের উৎপাদন, আমদানি, বিক্রি ও প্রচার—সবই বেআইনি। তা সত্ত্বেও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও কিছু খুচরো বাজারে এর উপস্থিতি নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে। সংসদের ভিতরে ভেপিংয়ের অভিযোগ সেই বিতর্ককে নতুন করে উসকে দিল।
