নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: 'টালমাটাল পায়ে রাস্তার এক-পার থেকে অন্য পারে হেঁটে চলে যায় সম্পূর্ণ উলঙ্গ এক শিশু...ভিখারি-মায়ের শিশু, কলকাতার যিশু'। আজও কয়েক লাখ 'কলকাতার যিশু' দেশের বিভিন্ন ট্রাফিক সিগন্যালে টালমাটাল পায়ে হেঁটে চলে। আজও দেশের কোনও প্রান্তের সিগন্যালে লালবাতি জ্বলে ওঠার আগেই থেমে যায় ঝড়ের বেগে চলতে থাকা শহর। আজও কোনও রাস্তার ঝাঁ চকচকে বড় বন্ধ শপিং মলের সামনে পিঠ উলটে শুয়ে থাকে শিশু। সেই পথশিশু ও অভাবী সন্তানদের জন্য দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হল ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ব্যাগ ও অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান।
হুগলির উত্তরপাড়ার 'প্রেরণা' নামের একটি এনজিও-র সহযোগিতায় ও দক্ষিণ দিল্লি কালীবাড়ির যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিল্লি কালীবাড়ির রানি রাসমণি হলে ১০০-র বেশি দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে অনেকেই ছিল প্রকৃতই পথশিশু। অনেকেরই গায়ে ছিল না পোশাক। ছিল না জুতোচপ্পল। দক্ষিণ দিল্লি কালীবাড়ির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দাস বলেন, "এদের হাতে উপহার তুলে দেওয়ার পর যে নির্মল হাসি দেখতে পেলাম তা এক স্বর্গীয় দৃশ্য! এই দুনিয়ায় শিশুর মুখের হাসির মতো পবিত্র আর কিছুই নেই। বলা হয় শিশুরাই ঈশ্বর। আজ সত্যিই ঈশ্বর দর্শন হয়েছে।"
অনুষ্ঠানে শিঞ্জন ড্যান্স একাডেমির কর্ণধার স্মিতা চক্রবর্তী ও তাঁর ছাত্রীরা নৃত্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরকেপুরমের এমএলএ অনিল শর্মা ও দক্ষিণ দিল্লি কালীবাড়ির সভাপতি দীপক চক্রবর্তী ও সম্পাদক সুব্রত দাস। বিধায়ক অনিল শর্মা দ্বীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। সঞ্চালনা করেছেন মৌলী গঙ্গোপাধ্যায়। সবশেষে বাচ্চাদের খাবারের প্যাকেট দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
