সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নয়াদিল্লি-হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেসে ছড়াল বোমাতঙ্ক। প্রায় দেশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শুরু হয়েছে তল্লাশি। নামানো হয়েছে স্নিফার কুকুর।
শনিবার বিকেল ৪ টে ৫৫ মিনিটে দিল্লি থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয় রাজধানী এক্সপ্রেস। তার কিছুক্ষণ পরই দিল্লির রেলওয়ে কন্ট্রোল রুমে একটি ফোন আসে। ফোনের ওপার থেকে জানানো হয়, রাজধানীতে বোমা রয়েছে। খবর পাওয়া মাত্র সতর্ক করা হয় সিআরপিএফকে। ৫ টা ১৫ নাগাদ গাজিয়াবাদ স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। কাজে নামেন ২০০ থেকে ২৫০-জন সিআরপিএফ কর্মী। নামানো হয় স্নিফার কুকুরও। স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়।
[বাজপেয়ীর পুত্র হওয়ার অধিকার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী]
গাজিয়াবাদে রাজধানীর কোনও স্টপেজ নেই। তা সত্ত্বেও বোমাতঙ্ক ছড়ানোয় কোনওভাবে ঝুঁকি নেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ। সেই স্টেশনেই দাঁড় করানো হয় ট্রেন। তারপরই তল্লাশি শুরু হয়। রেল সূত্রে খবর, প্রত্যেক যাত্রীর ব্যাগ থেকে শুরু করে ট্রেনের বার্থ, শৌচাগার প্রতিটি অংশই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তল্লাশির সুবিধার্থে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় সমস্ত যাত্রীদেরও। তবে এখনও পর্যন্ত কোনওরকম বোমার সন্ধান মেলেনি। ফোনটি কোথা থেকে এসেছিল বা কে করেছিল, তাও পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুধুমাত্র মজার ছলেই কেউ এমন বোমাতঙ্কের গুজব ছড়িয়েছে কিনা, তার খোঁজ চলছে। ফোনটি ভুয়ো হলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সেবিষয়টিও ভেবে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে বোমাতঙ্কের কারণে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ট্রেন কখন ছাড়বে, সে বিষয়েও অন্ধকারে যাত্রীরা।