সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (KCR) মেয়ে কে কবিতাকে টানা ৯ ঘণ্টা জেরা ইডির। দিল্লির মদ কেলেঙ্কারিতে শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ ইডির দপ্তরে হাজিরা দেন কবিতা (K Kavitha)। বিআরএস শীর্ষনেত্রীকে ৮টা পর্যন্ত টানা জেরা করেন ইডি আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, তাতেও সন্তুষ্ট নয় ইডি। আগামী ১৬ মার্চ কবিতাকে ফের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীর সমস্যার ‘ভিলেন’ কি নেহরুই? ইতিহাসের গোপন নথি দেয় ‘অন্য’ ইঙ্গিত]
উল্লেখ্য, জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে গত বুধবার কবিতাকে চিঠি দেয় ইডি। আসলে গত মঙ্গলবার কবিতা ঘনিষ্ঠ হায়দরাবাদের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লির আম আদমি পার্টির (AAP) নেতাদের ১০০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ইডির অভিযোগ অনুযায়ী, যে অর্থ কাজে লাগানো হয়েছে গোয়ায় আপের নির্বাচনী প্রচারে। দিল্লিতে মদের ব্যবসার অনুমোদন সংক্রান্ত দুর্নীতির তদন্তে কবিতার নাম এর আগেও প্রকাশ্যে এসেছিল। গত ডিসেম্বরে যখন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা মদ সংক্রান্ত নীতির ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসাবে অমিত অরোরা নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি, তখনই তারা জানতে পারে এই মামলায় যুক্ত রয়েছেন তেলঙ্গানার (Telengana) মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা কবিতাও। এ ব্যাপারে পরবর্তীকালে তদন্ত এগোলে এও জানা যায় যে, কবিতার দু’টি ফোনে অন্তত ১০বার আন্তর্জাতিক মোবাইল ইকুইপমেন্ট পরিচিতি বদলানো হয়েছে। এসব নিয়েই এদিন কবিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে এসবের মধ্যেই আবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগে সরব হয়েছে ভারত রাষ্ট্র সমিতি। তেলেঙ্গানাজুড়ে সেরাজ্যের শাসকদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। হায়দরাবাদে আবার চমকপ্রদ পোস্টারও পড়েছে। যাতে দেখানো হয়েছে Raid ডিটারজেন্ট পাউডার নামের একটি অস্ত্র আছে বিজেপির হাতে। এই ডিটারজেন্ট পাউডার কোনও নেতার উপর ব্যবহার করলেই তিনি সাদা থেকে গেরুয়া হয়ে যান। এর আগে এই ডিটারজেন্ট অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার উপর প্রয়োগ করা হয়েছে। যদিও ওই পোস্টারে দেখানো হয়েছে কে কবিতার উপর সেই ডিটারজেন্ট পাউডার প্রয়োগ করেও বিশেষ সুবিধা করতে পারবে না বিজেপি। কারণ তাঁর রং বদলাবে না।
[আরও পড়ুন: নেশার ঘোরে ঘুমন্ত শিশুর উপর চেপে বসল যুবক, দম আটকে মৃত্যু একরত্তির]
নিজেদের বিক্ষোভে অন্য বিরোধীদেরও সঙ্গে পেয়েছে টিআরএস। পায়নি শুধু কংগ্রেসকে (Congress)। কংগ্রেস ঘুরিয়ে কবিতার জিজ্ঞাসাবাদকে সমর্থনই করছে। শুক্রবার মহিলা সংরক্ষণ আইন কার্যকর করার দাবিতে দিল্লিতে কে কবিতা যে ধরনায় বসেছিলেন, সেটি আসলে নজর ঘোরানোর চেষ্টা বলে মনে করছে হাত শিবির।