বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে বিশেষ নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনের (এসআইআর) কাজ শেষ হলেই শুরু হবে জাতিভিত্তিক জনগণনার কাজ। ২০২৭ সালের আদমশুমারের জন্যে বাজেট ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় রেল ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, জনগণনার জন্য ১১,৭১৮ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এনপিআরের জন্য কোনও বাজেট বরাদ্দ করা হয়নি। অর্থাৎ এখনই এনপিআর হচ্ছে না।
জনগণনা হবে দুটি ভাগে। প্রথমে হাউসিং এনলিস্টিং এবং পরে পপুলেশন এনুমারেশন। অশ্বিনী জানান, ডাটাবেসের ধারাবাহিকতা এবং গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে ভারত ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আদমশুমারের রেকর্ড সংরক্ষণ করে আসছে। ২০২৭ সালের আদমশুমার হবে ভারতের ১৬তম এবং স্বাধীনতার পরে থেকে অষ্টম আদমশুমার। ১৯৪৮ সালের আদমশুমার আইন এবং ১৯৯০ সালের আদমশুমার বিধি অনুযায়ী চলবে গোটা কর্মকাণ্ড। প্রথম দফায় বাড়ির তালিকা তৈরি করা হবে, বাড়ির গণনা হবে। দ্বিতীয় দফায় হবে নাগরিকদের সংখ্যার গণনা।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২টি রাজ্যে এই মুহূর্তে এসআইআরের কাজ চলছে। আর এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিল আগামী বছরের এপ্রিল মাস থেকে জনগণনা হবে। মঙ্গলবার রেলমন্ত্রী জানান, ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রথম দফা এবং ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বিতীয় দফা। তবে জনগণনার সঙ্গে এনপিআরের জন্য কোনও বাজেট বরাদ্দ করা হয়নি। একটা সময় শোনা যাচ্ছিল, জনগণনার সঙ্গে সঙ্গেই এনপিআর প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। আপাতত তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই।
