সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যপ্রাণ সুরক্ষা নিয়ে মাস তিনেক সংসদে বক্তব্য রেখেছিলেন মেদিনীপুরের তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া। দাবি তুলেছিলেন মান্ধাতা আমলের আইন দ্রুত সংশোধন করা হোক। তা নইলে অবলা প্রাণীদের উপর শত অত্যাচার সত্ত্বেও দোষীরা আইনের ফাঁক গলে রেহাই পেয়ে যান। কারও তেমন শাস্তি হয় না। তাই আইন সংশোধন করা প্রয়োজন। তাঁর সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে আইনটি সংশোধনের লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে বলে সাংসদকে চিঠি পাঠিয়ে আশ্বস্ত করলেন কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিং। জানালেন, খসড়া তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের পরামর্শ, মতামত নিয়ে কাজ চলছে। সংশোধনী প্রস্তাবের সবকটি খুব ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জুনকে লেখা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর চিঠি।
গত ফেব্রুয়ারিতে সংসদ অধিবেশন চলাকালীন বক্তব্য রাখতে উঠে বন্যপ্রাণীদের উপর নির্যাতন নিয়ে লোকসভায় সরব হন তৃণমূলের তারকা সাংসদ জুন মালিয়া। তাঁর বক্তব্য ছিল, বন্যপ্রাণীদের নানাভাবে হেনস্তার ঘটনা প্রায়শই প্রকাশ্যে আসে। পশুপ্রেমী সংগঠনের তরফে পুলিশের দ্বারস্থ হলেও বিশেষ লাভ হয় না। অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আইনের ফাঁক গলে রেহাই পেয়ে যায়। সংসদে ৩৭৭ নম্বর ধারা তুলে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া। তাঁর কথায়, “আমি যত দ্রুত সম্ভত ‘প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যাল’ বিলে সংশোধন আনার প্রস্তাব রাখছি।” উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালের পর এই আইনে কোনও পরিবর্তন হয়নি। এমন বহু ধারা রয়েছে, যা জামিনযোগ্য। ফলে অপরাধীরা খুব সহজেই ছাড়া পেয়ে যায়।
জুনের সেই বক্তব্যের পরই কাজ শুরু করে কেন্দ্রীয় প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রক। শনিবার মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিং চিঠি পাঠিয়েছেন তৃণমূল সাংসদকে। জানানো হয়, 'প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যাল (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২২’-এর খসড়া প্রস্তাব ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। তা নিয়ে বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন, আইনজীবী, বিশেষজ্ঞ এমনকী সাধারণ নাগরিকদেরও পরামর্শ গ্রহণ করা হচ্ছে। এর পক্ষে, বিপক্ষে নানা মতামত প্রকাশ করছেন তাঁরা। তাই সব খুঁটিনাটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। সমস্ত নিয়ম মেনে খসড়া প্রস্তাবটি সংসদে পেশ করা হবে।
