shono
Advertisement
Chennai

হঠাৎ হৃদয় থেমে গেল হৃদরোগ বিশেষজ্ঞেরই! রোগীদের মাঝেই মৃত্যুর কোলে ডাক্তার

মাত্র ৩৯ বছরেই মর্মান্তিক মৃত্যু চিকিৎসকের।
Published By: Biswadip DeyPosted: 10:56 AM Aug 30, 2025Updated: 12:37 PM Aug 30, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চেন্নাইয়ের হাসপাতালে রাউন্ডে এসে অকস্মাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক ৩৯ বছরের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের। হাসপাতালেরই আরেক চিকিৎসক সুধীর কুমার জানাচ্ছেন, তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন গ্রাদলিন রায় নামে ওই চিকিৎসককে বাঁচানোর। কিন্তু সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়। তাঁর বামদিকের ধমনী ১০০ শতাংশ 'ব্লক' হয়ে যাওয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতালে। একজন চিকিৎসক, যিনি হৃদরোগের চিকিৎসা করতেন, তিনিই কীভাবে এমনভাবে মারা গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 'কার্ডিয়াক সার্জেন' গ্রাদলিন রোজকার মতোই রাউন্ডে এসেছিলেন। আচমকাই তিনি অচেতন হয়ে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে হইহই পড়ে যায়। পরে সুধীর কুমার নামের হায়দরাবাদের নিউরোলজিস্ট এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, 'সহকর্মীরা প্রবল লড়েছেন- সিপিআর, দ্রুত স্টেনিং-সহ অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, বেলুন পাম্প এমনকী ইসিএমও-ও! কিন্তু কোনও লাভই হয়নি। ১০০ শতাংশ প্রধান ধমনী ব্লক হওয়ার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।' এমন ঘটনায় শোকের ছায়া চেন্নাইয়ের চিকিৎসক মহলে।

উল্লেখ্য, ওই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের মৃত্যু কিন্তু ব্যতিক্রম নয়। দেখা যাচ্ছে আজকের সময়ে তিরিশ বা চল্লিশের কোঠায় বহু চিকিৎসকই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় কাজ করে যাওয়া এর অন্যতম কারণ। দেখা যায়, কোনও কোনও চিকিৎসক ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা দৈনিক কাজ করেন। এমনকী, কখনও কখনও ২৪ ঘণ্টাও টানা কাজ করতে হয়। এই প্রবল চাপ, সারাক্ষণ জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার সিদ্ধান্তের মতো নানা বিষয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকাও অন্যতম ফ্যাক্টর। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া না করা এবং নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা না করানোও ডেকে আনছে অকালমৃত্যু।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • চেন্নাইয়ের হাসপাতালে রাউন্ডে এসে অকস্মাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক ৩৯ বছরের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের।
  • হাসপাতালেরই আরেক চিকিৎসক সুধীর কুমার জানাচ্ছেন, তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন গ্রাদলিন রায় নামে ওই চিকিৎসককে বাঁচানোর।
  • কিন্তু সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়। তাঁর বামদিকের ধমনী ১০০ শতাংশ 'ব্লক' হয়ে যাওয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Advertisement