সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের রায়গড়ে আত্মঘাতী এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী। মৃতের নাম প্রিন্সি কুমারী (২০)। তিনি জামশেদপুর বাসিন্দা। মৃত্যুর আগে প্রিন্সি একটি সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছেন। মা-বাবার কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি লিখেছেন, ‘তোমাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারলাম না।’
ছত্তিশগড়ের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন প্রিন্সি। পুঞ্জিপাথরা এলাকার কাছে একটি হস্টেলে তিনি বসবাস করতেন। অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যা থেকে তাঁকে তাঁর পরিবারের লোকজন ফোন করছিলেন। কিন্তু কোনও মেলেনি। তখনই সন্দেহ হয় তাঁদের। তড়িঘড়ি তাঁরা হস্টেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর কয়েকজন আধিকারিক প্রিন্সিকে ডাকতে তাঁর ঘরে যান। কিন্তু অভিযোগ, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। কাধিকবার ডাকাডাকি সত্ত্বেও কোনও সাড়া মেলেনি। তারপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তদন্তকারীরা। দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় প্রিন্সির ঝুলন্ত দেহ। কিন্তু কী কারণে প্রিন্সির মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তরুণী আত্মঘাতী হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রিন্সি তাঁর পড়াশোনা নিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন। পাশাপাশি, তাঁর পরিবারের অর্থিক অবস্থাও ভালো ছিল না। দেনার দায়ে জর্জরিত ছিল প্রন্সির পরিবার। তদন্তকারীদের অনুমান, এর জেরেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। তরুণীর দেহের পাশ থেকেই উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘মা-বাবা, আমাকে ক্ষমা করে দিও। তোমাদের স্বপ্ন আমি পূরণ করতে পারলাম না। আমার পড়াশোনার জন্য তোমাদের সব সঞ্চয় ভেঙে গিয়েছে।’
