সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের প্রত্যাঘাতের পর কাশ্মীরে সাধারণ নাগরিকদের নিশানা পাকিস্তানের। বুধবার সকাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাক গুলিতে প্রাণ গেল ১২ জন সাধারণ নাগরিকের। মৃতদের তালিকায় রয়েছে দুই শিশু। পাশাপাশি পাকিস্তানের হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি ও দোকান।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ মৃত্যুর বদলা নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে 'অপারেশন সিঁদুর' (Operation Sindoor) অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। এই হামলায় বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনর সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা অপারেশনের নজরদারিতে ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই হামলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বিদেশসচিব ও সেনা। তাতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ৯টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ করা হয়েছে। যে সব জায়গায় বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার পরিকল্পনা হয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই ভারত আঘাত হেনেছে।
মঙ্গলরাতে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরে আঘাত হানতেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। ভারতের তরফে জঙ্গি হত্যার বদলা নিতে নিয়ন্ত্রণরেখা লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গোলাগুলি শুরু করেছে পাক সেনা। শেষ পাওয়া খবরে এই হামলার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ১২ জন কাশ্মীরি নাগরিকের। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। প্রাণ বাঁচাতে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পুঞ্চ এলাকায়। এই ঘটনায় সীমান্তবর্তী ৫ জেলার সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে কাশ্মীরের নিরাপত্তা ইস্যুতে উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।
অপারেশন সিঁদুর ও তার পরবর্তী পাক হামলা প্রসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, 'আমরা কেউ যুদ্ধ চাই না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরুক সেটাই চাই আমরা। কিন্তু তার জন্য আমাদের প্রতিবেশীকে অস্ত্র তুলে রাখতে হবে। তাহলেই আমাদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া আসবে না।'
