সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণে জেরবার রাজধানী দিল্লি। প্রতিদিন রেকর্ড ভাঙছে আতঙ্কের একিউআই (AQI)। গুরুতর এই পরিস্থিতিতে ভারতের সহায় হল প্রতিবেশী চিন। সোমবার চিনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, দূষণের সমস্যা মোকাবিলায় কী কী করা উচিত সে বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শ দিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করবে তারা। চিন যে পথে নিজের দেশে বায়ুদূষণের মোকাবিলা করেছে সেটাই তারা ভারতের সঙ্গে ভাগ করে নেবে।
সোমবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে চিন জানিয়েছে, তারা ভারতের সঙ্গে হাতে হাত রেখে বায়ুদূষণের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত সমস্যা মোকাবিলায় একাধিক পোস্ট ইতিমধ্যেই দেওয়া শুরু করেছে চিন। ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং চিন এবং ভারতের বাতাসের মানের তুলনা করে ছবিও শেয়ার করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে ইউ জিং লিখেছেন, 'দ্রুত নগরায়নের জেরে ভারত ও চিন দুই দেশই দূষণের সঙ্গে লড়াই করছে। এই সমস্যা এখন আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা। তবে, গত দশকে চিনের অবিরাম প্রচেষ্টার ফলে দূষণ সমস্যা মোকাবিলায় অনেকখানি সাফল্য পাওয়া গিয়েছে।'
চিনা মুখপাত্র জানান, কীভাবে চিন এই সমস্যা সামাল দিয়েছে সেটাই ভারতের সঙ্গে ভাগ করে নেবে তারা। সোশাল মিডিয়ায় ইউ জিং লেখেন, 'কীভাবে চিন বায়ুদূষণের মোকাবিলা করেছে তা ছোট ছোট সিরিজের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।' চিনের দাবি, এই পদ্ধতিতে অবলম্বন করে চিনের বাতাসের মান উন্নত হয়েছে। ছবিতে দেখান হয়েছে, বর্তমানে বেজিংয়ের একিউআই ৬৮, সেখানে দিল্লির মান ৪৪৭।
উল্লেখ্য, যতদিন যাচ্ছে রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। গত সোমবার চলতি বছরের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল দিল্লির। একিউআই সূচক ছিল ৪৯৮। তীব্র দূষণের জেরে ফের দিল্লিতে লাগু হয়েছে ‘GRAP 3’। যার মাধ্যমে ৫০ শতাংশ কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজ এবং স্কুলগুলিকে হাইব্রিড মোডে পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অলোক পরামর্শ দিয়েছেন বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করার, N-95 মাস্ক পরার। এছাড়া ঘরের ভিতরে গাছপালা লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
