সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়টা বড়ই খারাপ যাচ্ছে চিরাগ পাসওয়ানের (Chirag Paswan)। সংসদীয় দলনেতার পদ থেকে সরতে হয়েছিল সোমবারই। আর মঙ্গলবার লোক জনশক্তি পার্টির (LJP) সভাপতি পদও খোয়াতে হল তাঁকে। ‘বিদ্রোহী’ সাংসদদের দলে টেনে ভাইপোকে সরানোর সিদ্ধান্ত চিরাগের কাকা পশুপতি পরশের। মঙ্গলবার দলের জাতীয় কমিটির ভারচুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে পদ খুইয়ে পালটা চালও দিয়েছেন তিনি। ৫ ‘বিদ্রোহী’ সাংসদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে খবর এলজেপি সূত্রে।
অন্যদিকে, আবার চিরাগকে পাশে সরিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দল তাঁদেরই মধ্যে থেকে দলের অন্যান্য পদ ঠিক করে ফেলেছে ইতিমধ্যে। লোকসভায় ডেপুটি দলনেতা হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’ সাংসদ মেহবুব আলি কেশর। চিফ হুইপ হওয়ার সম্ভাবনা চন্দন সিংয়ের। নিজের পদ হারিয়ে চিরাগ এখনই কিছু বলতে নারাজ। শুধু আক্ষেপের সুরে টুইট করেছেন – ”আমি চেষ্টা করেছিলাম বাবা এবং পরিবারের বানানো দলকে ধরে রাখতে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি।” সূত্রের খবর, এ নিয়ে বুধবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করবেন।
[আরও পড়ুন: গালওয়ান সংঘর্ষের বর্ষপূর্তিতে শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা সেনার]
সোমবার থেকেই শুরু হয়েছিল এলজেপি’র ঘরোয়া বিবাদ। লোকসভায় ৬ এলজেপি সাংসদের মধ্যে পাঁচজনই চিরাগের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করে বসেন। ‘বিদ্রোহী’দের তালিকায় রয়েছেন চিরাগের তুতো ভাই প্রিন্স রাজ, চন্দন সিং, বীণা দেবী, মেহবুব আলি কাইজার এবং চিরাগের কাকা পশুপতি কুমার পরশ। সূত্রের খবর, যেভাবে দল পরিচালনা করছেন চিরাগ, তাতে খুশি নন ওই পাঁচজন। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে গত বছর রামবিলাস পাসওয়ানের মৃত্যুর পর থেকে এলজেপির শীর্ষপদে কার্যত একঘরে হয়ে গিয়েছেন চিরাগ। তারই মধ্যে নরেন্দ্র মোদীর বর্ধিত মন্ত্রিসভায় কে ঠাঁই পাবেন, তা নিয়ে চাপানউতোর চলছিল।
[আরও পড়ুন: ভোল বদলেছে করোনার ডেল্টা স্ট্রেনও! নয়া রূপ কি আরও প্রাণঘাতী?]
এই রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির নেপথ্যে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ (JDU) সুপ্রিমো নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) ‘কলকাঠি’ রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। ইতিমধ্যেই চিরাগের কাকা পশুপতি জানিয়েছেন, বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে এনডিএ জোটে ফিরচে আগ্রহী এলজেপি। মঙ্গলবার আরজেডি-র তরফে এনডিএ বিরোধী ‘মহাগাঁটবন্ধন’এ শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে চিরাগকে। ফলে সমীকরণ আপাতত একটু জটিল।