সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষিকার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্বামী! এই সন্দেহে সেই যুবতীকে খুন করতে গিয়ে অন্য শিক্ষিকাকে খুন করল স্ত্রীর ভাড়া করা খুনিরা! কারণ একই রাস্তা দিয়ে, একই রঙের স্কুটি নিয়ে যাচ্ছিলেন শিক্ষিকা। ঘটনায় মহিলা-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের আরিয়া জেলায়। মৃতার নাম শিবানী শর্মা। আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা শিবানী ২০২৩ সালে বিহার পাবলিক সার্ভিসের পরীক্ষা দিয়ে নরপতগঞ্জ ব্লকের কানহাইলি মিডল স্কুলে চাকরি পান। এদিকে সেই এলাকার বাসিন্দা হুসন আরা নামে এক মহিলা জানতে পারেন, এক স্কুল শিক্ষিকার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন তাঁর স্বামী। সেই শিক্ষিকা ভবানীপুর প্রাইমারী স্কুলে কর্মরত। এই তথ্য পাওয়ার পর ওই শিক্ষিকার সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নেন মহিলা। স্বামীর প্রেমিকা কোন পথে, কখন স্কুলে যান, কোনও যান ব্যবহার করেন কিনা। জানতে পারেন সকাল ৯টা নাগাদ স্কুটি করে স্কুলে যান শিক্ষিকা।
এরপরই মহম্মদ মারুফ, মহম্মদ সোহেল নামের দুই দুষ্কৃতীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন হুসন। স্বামীর প্রেমিকাকে খুন করতে ৩ লক্ষ টাকার সুপারি দেন। এরপর ঘটনাস্থল রেইকি করে দুই শুটার। সেই মতো বুধবার অপারেশনের দিন ঠিক করে তারা। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ রাস্তায় আগে থেকে অপেক্ষা করছিল দুই ভাড়াটে খুনি। সেই সময় শিক্ষিকা স্কুটি করে যেতেই তাঁকে ধাওয়া করে তারা। তারপর রাস্তার ধারেই খুব কাছ গুলি করা হয়। মৃত্যু হয় যুবতীর। কিন্তু পরে জানা যায়, যাঁকে খুন করতে চেয়েছিলেন তাঁকে নয়, অন্যজনকে খুন করছেন তারা।
বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে মৃতার নাম শিবানী। তিনি স্থানীয় স্কুলে শিক্ষিকা। এলাকার লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে। তখনই জানা যায়, শিবানীর স্কুলে যাওয়া-আসার পথ, স্কুটির রং সব মিলে গিয়েছিল হুসনার স্বামীর প্রেমিকার সঙ্গে। তাতেই খুন হতে হয় তাঁকে। এক পুলিশ অধিকারিক বলেন, "শিবানী বর্মাকে ভুল করে খুন করেছে দুই ভাড়াটে খুনি। শিবানী তাদের টার্গেট ছিলেন না। টার্গেটে থাকা শিক্ষিকা সেদিন ছুটিতে ছিলেন। দুজনেরই রুট এবং স্কুটি রং একই।” পুলিশ জানিয়েছে খুনে ব্যবহৃত বন্দুক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্তে নেমে দুই ভাড়াটে খুনি ও হুসনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের হেফাজতে নিয়ে পরবর্তী তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
