হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকেই উত্তরপ্রদেশে ঢুকে পড়ছেন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা-বাংলাদেশিরা! এমনই দাবি করেছে সে রাজ্যের যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকার। এই 'অনুপ্রবেশ' ঠেকাতে সেখানে অভিযানও শুরু হয়েছে। এ বার উত্তরপ্রদেশ সরকার জানাল, অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা-বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করার বিশেষ উপায়ও খুঁজে বার করছে তারা।
বাংলায় এসআইআর শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে, বিশেষত বিজেপিশাসিত রাজ্যে হেনস্থার লাগাতার হেনস্থার শিকার হয়েছেন বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকেরা। তা নিয়ে এ রাজ্যে সরব শাসকদল তৃণমূল। আদালতে একাধিক মামলাও হয়েছে। অভিযোগ, অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা-বাংলাদেশি সন্দেহেই বাংলাভাষীদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে জায়গায় জায়গায়। এ রকমই ঘটনার শিকার বীরভূমের সোনালি বিবি, যাঁকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই সোনালিকে শুক্রবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এ সব নিয়ে নানা বিতর্কের আবহে উত্তরপ্রদেশ সরকারের এমন অভিযানে বৈধ নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও নিরীহ বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফের হেনস্থার শিকার হবেন বলেই আশঙ্কা।
উত্তরপ্রদেশ সরকার বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে কোনও রকম সমঝোতা করা হবে না। কোনও পরিস্থিতিতেই অনুপ্রবেশ ঘটতে দেওয়া যাবে না। তাই অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে অভিযান শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজন রোহিঙ্গা-বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করা হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। কয়েক জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতারও করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
প্রসঙ্গত, দু'দিন আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে যোগী সরকার জানিয়েছিল, উত্তরপ্রদেশের জায়গায় জায়গায় ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। শুরুও হয়ে গিয়েছে প্রথম ধাপের কাজ। এর জন্য ১৭টি পুর সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, সন্দেহভাজনদের নাগরিকত্ব যাচাই না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ডিটেনশন সেন্টারেই থাকবেন। ডিটেনশন সেন্টারগুলির তত্ত্বাবধানে থাকবে অসামরিক প্রশাসন। সঙ্গে থাকবে পুলিশও। যৌথ দায়িত্বে তারা কাজ করবে।
