সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি সুখবর দিয়েছে মার্কিন আর্থিক রেটিং সংস্থা ফিচ। তাদের দাবি কেন্দ্র জিএসটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে সাধারণ ক্রেতার খরচ এবং আস্থা দুই বেড়েছে। এপ্রিল-জুনের ৭.৮ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধিকে ছাপিয়ে পরের তিন মাসের হার দাঁড়িয়েছে ৮.২ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনে এই আর্থিক উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্তব্য, "কয়েক দশক আগে পর্যন্ত ভারতের ধীর আর্থিক বৃদ্ধিকে হিন্দু প্রবৃদ্ধির হার আখ্যা দিয়ে হিন্দু জীবনধারাকে অপমান করা হত।" মোদির দাবি গত এক দশকে তাঁর শাসনকালে সেই পরিস্থিতি বদলেছে। উলটে ভারত এখন বিশ্বগুরু, গোটা পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
শনিবার ২৩তম 'হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে' বক্তৃা দেন মোদি। সেখানে তিনি বলেন, "আমরা এক যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, যখন একবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ পেরিয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্ব অনেক উত্থান-পতন দেখেছে। অর্থনৈতিক সংকট, কোভিড মহামারী ইত্যাদি। এই পরিস্থিতি কোনও না কোনও ভাবে দুনিয়াকে চ্যালেঞ্জ করেছে... আজকের পৃথিবী অনিশ্চয়তায় ভরা। এই সংকটের মধ্যেই ভারত এক ভিন্ন ধারায় হাজির হচ্ছে। ভারত আত্মবিশ্বাসী। যখন বাকি পৃথিবী মন্দার মুখে, ভারত তখন আর্থিক বৃদ্ধির কাহিনি লিখছে। যখন বিশ্ব আস্থাহীনতায় ভুগছে, তখন ভারত আস্থার স্তম্ভ হয়ে উঠছে।"
বিগত কংগ্রেস সরকারকে এক হাত নিয়ে মোদি বলেন, "নিজের নাগরিকদের উপরেই আস্থা ছিল না ওদের। আমাদের সরকার কাজ করার সেই পুরনো পদ্ধতি ভেঙে দিয়েছে। একজন নাগরিকের স্ব-প্রত্যয়িত নথিই তার সত্যতা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট।" আরও বলেন, "আমাদের দেশকে প্রতিটি ক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে মুক্ত হতে হবে। সঠিক পদক্ষেপে নাগরিকদের ১০ বছর এগিয়ে দিতে চাই আমি।" এইসঙ্গে মোদির মন্তব্য, "কয়েক দশক আগে পর্যন্ত ভারতের ধীর আর্থিক বৃদ্ধিকে হিন্দু প্রবৃদ্ধির হার বলে আখ্যা দিয়ে হিন্দু জীবনধারাকে অপমান করা হত।"
