সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হওয়ার পর এবার সরাসরি ‘চুরি’! লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Elections 2024) পর কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনল কংগ্রেস। দলের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন দাবি করলেন, আয়কর বিভাগের নির্দেশে বেআইনিভাবে কংগ্রেসের একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে ৬৫ টাকা সরিয়েছে কেন্দ্র। প্রকারান্তরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ এনেছেন কংগ্রেস নেতা।
দিন কয়েক আগেই হঠাৎ কংগ্রেসের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই সঙ্গে যুব কংগ্রেসের (Congress) যাবতীয় অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়। সেবারেও অভিযোগ করেছিলেন অজয় মাকেন। তিনি জানান, আচমকায় তাঁর দলের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট কারণও জানানো হয়নি। ইলেকট্রিক বিল, দলীয় কর্মীদের বেতন- কিছুই দেওয়া যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: মা হতে চলেছেন দীপিকা পাড়ুকোন! কত মাসের অন্তঃসত্ত্বা রণবীর ঘরনি?]
আয়কর বিভাগ (IT Dept) সূত্রে খবর পাওয়া যায়, কংগ্রেসের বিপুল পরিমাণ আয়কর বকেয়া থাকায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আয়কর বিভাগের তরফে জানানো হয়, ২০১৯ সাল থেকে বিশাল পরিমাণে কর বকেয়া রয়েছে। কংগ্রেস ও যুব কংগ্রেস মিলিয়ে মোট ২১০ কোটি টাকার কর মেটায়নি হাত শিবির। যদিও পরে আয়কর ট্রায়ব্যুনালে স্বস্তি পেয়ে যায় কংগ্রেস। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে ১ ঘণ্টার মধ্যে কংগ্রেসের যাবতীয় অ্যাকাউন্ট সক্রিয় হয়ে যায়। কিন্তু এবার আরও বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: তিন সেনাকর্তাকে ফাঁসির সাজা মায়ানমারে! কেন এই পদক্ষেপ জুন্টার?]
অজয় মাকেনের দাবি, কংগ্রেসের অ্যাকাউঁন্ট থেকে ৬০ কোটি টাকা এবং যুব কংগ্রেস ও NSUI-এর অ্যাকাউন্ট থেকে আয়কর বিভাগের নির্দেশে বেআইনিভাবে সরিয়ে নিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। তাঁর প্রশ্ন, জাতীয় দলগুলির আয়কর দেওয়ার নিয়ম আবার কবে চালু হল। বিজেপি কি আয়কর দেয়? তাহলে কংগ্রেসের আয়কর দেওয়ার প্রশ্ন আসছে কেন? এই ২১০ কোটি টাকা কর দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠছে কেন? এই টাকা একেবারে সাধারণ মানুষের টাকা। সদস্য সংগ্রহের চাঁদা থেকে তোলা টাকা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, গণতন্ত্র সুরক্ষিত তো?