সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদানি গোষ্ঠীর আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে ফের সরব হল কংগ্রেস (Congress)। উল্লেখ্য, গৌতম আদানির (Gautam Adani) দাদা বিনোদ আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, কারচুপি করে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম বাড়ান তিনি। রবিবার কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh) প্রশ্ন তোলন, এই ঘটনা কি সেবি এবং ইডি-র (ED) তদন্তের যোগ্য নয়? কংগ্রেস নেতার আরও দাবি, আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিনোদের যোগের বিষয়ে এখন মিথ্যে বলছে অভিযুক্ত শিল্পগোষ্ঠী।
কংগ্রেসের ‘হাম আদানিকে হ্যায় কৌন’ সিরিজে টুইট করে রমেশ একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যেহেতু এই বিষয়ে ‘মৌন বাবা’ সেজে চুপ করে আছেন (যেমন ছিলেন চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের সময়ে), ফলে আমরা প্রশ্ন করা বন্ধ করব, এমনটা ভাবা ভুল হবে।” বিনোদের বিরুদ্ধে চুক্তির কথা না-জানিয়ে কোটি কোটি ডলার লেনদেনর অভিযোগও তুলেছেন কংগ্রেস নেতা। তিনি আর দাবি করেন, বিপাকে পড়ে বিনোদের সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলছে শিল্পগোষ্ঠী। রমেশ টুইটে জানান, বিভিন্ন সময়ে স্টক এক্সচেঞ্জকে দেওয়া তথ্যেই তাঁকে (বিনোদ আদানি) গোষ্ঠীর অংশ বলে জানিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি ক্ষমতায় থাকাকালীন আরও গরিব হয়েছেন হিন্দুরা’, গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ মুফতির]
টুইটে রমেশ তোপ দাগেন, বিরোধী রাজনৈতিক দল, সংবাদমাধ্যম এবং যে সমস্ত শিল্পপতিরা কেন্দ্রের বিরোধিতা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন কি ‘বন্ধু শিল্পপতির’ বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করানো হবে? এদিকে নীতি আয়োগের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার এবং ডিএলএফ গোষ্ঠীর কে পি সিংহ দাবি করেছেন, একটি শিল্প গোষ্ঠীর এই ঘটনা ভারতের উপরে প্রভাব ফেলবে না। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, আদানি কাণ্ডে ভারতের উপরে চাপ পড়বে। এর চেয়েও লক্ষ টাকার প্রশ্ন, আদানি কাণ্ডে মৌনব্রত ভাঙবেন কি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।