সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকাল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির (Smriti Irani) মেয়ে জোইশ ইরানির (Zoish Irani) বিরুদ্ধে। জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নামে গোয়ার (Goa) একটি বার লাইসেন্স রিনিউ করান জোইশ। এহেন তথ্য জেনে ওই বারকে (Goa Restaurant) শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে গোয়ার আবগারি দপ্তর। এই ঘটনায় শনিবার আসরে নামল কংগ্রেস (Congress)। কংগ্রেসের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) অবিলম্বে স্মৃতি ইরানিকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করুন।
যদিও গতকাল স্মৃতি কন্যা জোইশ ও তাঁর আইনজীবী গোটা বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয়। আইনজীবী কিরাত নাগরা দাবি করেন, গোটা বিষয়টি ভুয়ো। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছে। জোইশ গোয়ার ওই রেস্টুরেন্টুর মালিক নন, অভিযুক্ত সিলি সোলস রেস্তরাঁ তিনি চালান না। এমনকী কোনও শোকজ নোটিশও পাননি। যদিও কংগ্রেস ওই শোকজ নোটিশের নমুনা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। এইসঙ্গে দলের তরফে দাবি করা হয়, যে আবগারি আধিকারিক নোটিশ দিয়েছেন, কর্তৃপক্ষের চাপে তাঁকে বদলি করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘খাপ পঞ্চায়েত বসাচ্ছে সংবাদমাধ্যম, পিছিয়ে যাচ্ছে গণতন্ত্র’, উদ্বেগ প্রধান বিচারপতির]
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন সিলি সোলস কাফে অ্যান্ড বার নামে ওই মদের দোকানের লাইসেন্স রিনিউ করা হয়। অ্যান্থনি ডি’গামা নামে এক ব্যক্তির নামে লাইসেন্স নথিভুক্ত হয়েছিল। রাজ্যের আবগারি দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছিল, লাইসেন্স হোল্ডারের তরফে অন্য একজন নথিপত্রে সই করেন। ২০২২-২০২৩ সালের জন্য লাইসেন্স রিনিউ করার আবেদন জানানো হয়েছিল। ১২০০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে তৈরি করা বাড়ির একটি অংশে চালানো হয় ওই বার। যদিও যাঁর নামে লাইসেন্সের রিনিউর আবেদন করা হয়েছিল তিনি ১৩ মাস আগে ২০২১ সালের ১৭ মে মারা যান।
এদিন এই প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা (Pawan Khera) বলেন, “বেআইনি কাজ হয়েছে। বারের লাইসেন্স রিনিউ নিয়ে দুর্নীতির পাশাপাশি গোয়ায় আবাগারি দপ্তরের নিয়ম, একটি রেস্তরাঁয় একটিমাত্র বারের লাইসেন্স দেওয়া হয়, কিন্তু ওই রেস্তরাঁয় দু’টি বার রয়েছে।” এরপরই তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি, অবিলম্বে স্মৃতি ইরানিকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করা হোক। না হলে দেশের মানুষের কাছে কী জবাব দেবেন, বিশেষত যুবক-যুবতীদের কাছে!”
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরের এইমসে গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকের পদ ফাঁকা, অভিষেকের প্রশ্নে প্রকাশ্যে বেহাল দশা]
মুখ খুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)। রাহুল বলেন, “সংবাদপত্র চালানোর মতো মহৎ কাজ আর বেআইনি বার চালানোর মতো কাজ নিশ্চয়ই এক জিনিস না। এটা মানত হবে, যে এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না তিনি, বেআইনি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে তাঁর প্রভাব ছাড়াই!” এভাবেই নাম না করে স্মৃতিকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতা। “আমরা জানতে চাই, কার মদতে এই দুর্নীতি,” যোগ করেন রাহুল।
এই বিষয়ে শনিবার মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে কংগ্রেস কুৎসা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। স্মৃতি বলেন, “আমার ১৮ বছরের মেয়ের বিরুদ্ধে কুৎসা করা হচ্ছে। ওঁর একমাত্র দোষ ওঁর মা রাহুল ও সোনিয়া গান্ধীর ৫ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেছে। আমি দাবি করছি, ওঁরা আবার হারবেন। আদালতে ও সাধারণ মানুষের সামনে অপদস্থ হতে হবে ওঁদের।”