সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ১০০ দিনের প্রকল্পের নামবদল অর্থাৎ ‘গান্ধী’র নাম বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে এবার দেশজুড়ে পথে নামছে কংগ্রেস। শনিবার দিল্লিতে কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কৃষক আন্দোলনের ধাঁচে আগামী ৫ জানুয়ারি দেশজুড়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ করবে দল। একেবারে পঞ্চায়েত স্তর থেকে সর্বভারতীয় স্তর পর্যন্ত রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে চাইছে হাত শিবির। কংগ্রেস চাইছে, কৃষক আন্দোলনের চাপে যেভাবে ৩টি কৃষি আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছিল বিজেপি, তেমনটাই এক্ষেত্রেও চেষ্টা করা হবে।
শনিবার দিল্লিতে কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠকে কমিটির সব সদস্য, আমন্ত্রিত সদস্য, দলের হাতে থাকা রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে রাহুল গান্ধী দাবি করেন, নরেন্দ্র মোদি দেশে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। এই মনরেগাকে 'জি রাম জি' আইনে পরিণত করার আগেও কোনও মন্ত্রীর পরামর্শ নেওয়া হয়নি। সবটাই হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে। আদানির স্বার্থরক্ষা করতে গান্ধীকেও বিসর্জন দিয়েছেন মোদি। বিরোধী দলনেতার দাবি, এর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে এমন প্রতিরোধ গড়তে হবে যাতে সরকার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে বাধ্য হয়।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বৈঠকে বলেন, গান্ধী নামটাই পছন্দ নয় নরেন্দ্র মোদির। গান্ধী নামেই অ্যালার্জি। সংসদে তাঁর সামনে গান্ধী বসে থাকে। টাকায় গান্ধীর ছবি। আবার প্রকল্পের নামে গান্ধী। তাই সহ্য করতে না পেরে মনরেগা থেকে গান্ধীজির নাম সরিয়ে দিয়েছেন। খাড়গেই ঘোষণা করেছেন, আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু করে টানা ৪০ দিন দেশের প্রতিটি প্রান্তে মনরেগা বাঁচাতে আন্দোলনে শামিল হবেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। কোনও কোনও রাজ্যে বড় বড় জনসভা হবে। এছাড়া বিক্ষোভ, অবস্থান, সাংবাদিক সম্মেলন হবে।
আগামী বছর পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন। তার আগে দেশজুড়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছে রাজনৈতিক মহল। দীর্ঘদিন বাদে দেশজুড়ে আন্দোলনের পথে হাঁটছে হাত শিবির। যদিও দীর্ঘদিন ধরে বসে থাকা অলস জরাজীর্ণ সংগঠনকে গান্ধীর নামে আদৌ ঝাঁকুনি দেওয়া যাবে তো? সংশয় রয়েছে।
